আইএস থেকে অপহরণের হুমকি পেলেন মিস ইরাক সায়মা কাসেম

দীর্ঘ ৪০ বছর পর প্রথমবারের মত সুন্দরী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইরাকে। সেই কারণে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস মৃত্যুর হুমকি দিয়েছিল অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও প্রতিযোগীদের। কিন্তু মৃত্যুর হুমকি উপেক্ষা করেই অংশ নিয়েছিলেন ইরাকি সুন্দরীরা। সবাইকে পেছনে ফেলে ২০ বছর বয়সী সায়মা কাসেম আব্দেল রহমান ২০১৫ সালের মিস ইরাক নির্বাচিত হন।

ইসরাইলি দৈনিক জেরুজালেম থেকে জানা গেল, মিস ইরাক সায়মা কাসেমকে অপহরণের হুমকি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন আইএস। পত্রিকাটি জানায়, মিস ইরাক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পর সায়মা কাসেমকে ফোনে হুমকি দেয়া হয়। আইএস জঙ্গি সংগঠনটিতে সায়মাকে যোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে, তা না হলে তাকে অপহরণ করা হবে বলে হুমকি দেয় আইএস।

সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজকরা জানিয়েছিলেন, তারা ইরাকের উজ্জ্বল দিকগুলিকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য এধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। যদিও ইরাকের সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার নিয়মকানুন হুবহু অনুসরণ করেনি। বরং এখানে ইরাকের সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এজন্য এই প্রতিযোগিতা থেকে সাঁতারের পোশাক পরার পর্ব বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিযোগিরা হাঁটুর নীচে পোশাক পড়েছেন। তবে তাদের মাথায় কোনো স্কার্ফ ছিল না।

মিস ইরাক সায়মা অর্থনীতির ছাত্রী। আগামী বছর মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ইরাকের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল তার।

বেশিরভাগ প্রতিযোগিই সাহসিকতার সঙ্গে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেও দুজন প্রতিযোগি মৃত্যুর হুমকি পাওয়ায় নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর আগে ১৯৭২ সালে সর্বশেষ সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ইরাক।



মন্তব্য চালু নেই