অ্যাকাউন্টে হঠাৎ অগুনতি টাকা, দেদার খরচ!

মালয়েশিয়ার অধিবাসী ক্রিস্টাইন জিয়াজিন লি। অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছিলেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে। বেশ চলছিল ছাত্রজীবন। হঠাৎ একদিন দেখলেন তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে একটি সীমাহীন ব্যাংক ড্রাফট। অর্থাৎ যে কোনো পরিমাণ অর্থ তিনি খরচ করতে বা ওঠাতে পারেন! আর পায় কে? সঙ্গে সঙ্গে শুরু করলেন দেদার খরচ।

ব্যাংক ড্রাফটের ঘটনাটি ঘটছে একেবারেই ভুলক্রমে। ২০১২ সালে ওয়েস্টপ্যাক নামের একটি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাংক সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবেই ওই ড্রাফটটি অনুমোদন করে ক্রিস্টাইনের নামে। আর সুযোগ পেয়ে তিনি বিলাসবহুল বিভিন্ন জিনিস কিনে খরচ করে ফেলেন পুরো ৪৬ লাখ ডলার। বিষয়টি ধরা পড়ে ২০১৫ সালের এপ্রিলে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সিডনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন ক্রিস্টিনা। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী হুগো অ্যাস্টন।

এর আগে ‘অবৈধভাবে ব্যবহার করা’ ওই অর্থ ফেরত চেয়ে ক্রিস্টিনার নামে মামলা করে ওয়েস্টপ্যাক। তবে এ বিষয়ে নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেছেন তিনি।

ভুলক্রমে পাওয়া অর্থ ক্রিস্টিনার ব্যবহার করা বৈধ হয়েছে, এমন দাবি করে অ্যাস্টোন বলেন, ‘আমরা বেশ আশাবাদী যে আমার মক্কেলকে খালাস দেওয়া হবে। তাঁর পরিবারও তাঁর পক্ষে রয়েছে। আমরা দলবদ্ধভাবে কাজ করছি। বিষয়টি নিষ্পত্তি হলেই তিনি (ক্রিস্টিনা) মালয়েশিয়া চলে যাবেন।’

আদালতে পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখে ওয়েস্টপ্যাকের প্রতিনিধিদল। তাঁরা ডেইলি মেইলকে জানান, তাঁরা সঠিক বিচার আশা করছেন।

এর আগে দেশত্যাগের চেষ্টার সময় ২০১৫ সালের মে মাসে সিডনি এয়ারপোর্ট থেকে ক্রিস্টিনাকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই