অসুখ-বিসুখের পর ঘরকে জীবাণুমুক্ত করুন সহজ কিছু উপায়ে

অসুখের উৎপত্তি হয় ঘর থেকে। আমরা ঘর পরিষ্কার করে ভেবে থাকি যে ঘর জীবাণুমুক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু ঘর পরিষ্কার করা হলেই জীবাণুমুক্ত হয় না।বিশেষ করে পরিবারের কোন সদস্য অনেক দিন অসুস্থ থাকার পর সুস্থ হলে তখন ঘরকে জীবাণুমুক্ত করা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। ঘর জীবাণুমুক্ত করার যায় সহজ কিছু উপায়ে। আসুন জেনে নিই উপায়গুলো।

১। খাবার ঘর

বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘরটি হল খাবার ঘর। এখানে পরিবারের সদ্যসরা খাবার খেয়ে থাকেন। তাই এই ঘরটি পরিষ্কারেরর দিকে একটু বেশি খেয়াল করা উচিত। দুইটি মাঝারি আকৃতির লেবুর রসের সাথে এক চা চামচ জলপাইয়ের তেল বা সবজির তেল মেশান। এবার একটি স্প্রে বোতলে ভরে টেবিলের ওপর স্প্রে করে দিন। এটি আপনার খাবার টেবিলকে জীবাণুমুক্ত রাখবে।

২। ছোট বাচ্চাদের ঘর

ছোট শিশুরা দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই ওদের ঘর জীবাণুমুক্ত রাখার দিকে বেশি খেয়াল রাখা প্রয়োজন। শিশুদের ঘর,টেবিল, চেয়ার, পোশাক ও খেলনার আলমারি ভিনেগার দিয়ে পরিষ্কার করুন। একটি কাপড়ে ভিনেগার ভিজিয়ে সেটা দিয়ে শিশুদের ঘরের আসবাবপত্র মুছুন।

৩। শোবার ঘর

পরিবারের কোন সদস্য অসুস্থ হলে তার জীবাণু শোবার ঘরে থেকে যায়। সুস্থ হবার পর শোবার ঘর ভালভাবে জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন। ঘরের সব আসবাব ভিনেগার দিয়ে পরিষ্কার করুন। বিছানার চাদর, বালিশের কভার, কাঁথা ইত্যাদি ধোয়ার সময় পানির মধ্যে ভিনেগার ও সামান্য পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এতে করে জীবাণু সব ধ্বংস হয়ে যাবে।

৪। বাথরুম

বাথরুমের বেসিন, কল, শাওয়ার জীবাণুমুক্ত করতে পানির মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। এভাবে মাসে দুইবার বাথরুম পরিষ্কার করতে পারেন।

৫। বসার ঘর

বসার ঘরে সোফা জীবাণুমুক্ত করতে এর ওপর বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন। ৩০ মিনিট পর সোফার কভারটা খুলে ফেলুন। তারপর সোফার কভারটি ধুয়ে ফেলুন। বেকিং সোডায় জীবাণু ধ্বংস করার উপাদান আছে,যা জীবাণুকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।

৬। রান্নাঘর

রান্নাঘর জীবাণুমুক্ত করতে লেবুর রস ও ভিনেগার মিশিয়ে রান্নাঘরের সিংক, চুলার চারপাশ পরিষ্কার করুন। এতে রান্নাঘর পরিষ্কার হওয়ার সাথে সাথে জীবাণুমুক্ত হবে।

তথ্যসূত্র:

Disinfect Your Home Naturally After Illness-www.boldsky.com



মন্তব্য চালু নেই