অল্প বয়সে তারকা খ্যাতিতে বিপথে যে তারকারা…
প্রতিভা এবং প্রতিভা বিকাশের অদম্য চেষ্টা ছিল। তাই অল্প বয়সেই তারা তারকা। তারকাখ্যাতি জুটেছে, সঙ্গে খ্যাতির বিড়ম্বনাও। বিশ্ব জুড়ে অগুনতি ভক্ত তাদের। সমালোচকও অনেক। অল্প বয়সে খ্যাতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছুটতে গিয়ে পা ফসকে পড়েছেন অনেকেই। চোখ ধাঁধাঁনো সাফল্যে ঝলসে গেছে দৃষ্টি, আর তাই ঘটিয়ে ফেলেছেন নানা অঘটন। মাদক গ্রহণ, অশ্লীল মন্তব্য বা পারফর্মেন্স, একের পর এক সম্পর্কের ভাঙা-গড়া থেকে শুরু করে নানা কারণেই সমালোচিত ও বিতর্কিত হয়েছেন তারা। অল্প বয়সে খ্যাতির অপব্যবহার করা এমন ক’জন তারকা-
মাইলি সাইরাস
যুক্তরাষ্ট্রের পপ তারকা ও অভিনেত্রী মাইলি সাইরাসডিজনি চ্যানেলের ‘হানা মনটানা’ সিরিজে সুযোগ পেয়েযান মাত্র ১৪ বছর বয়সে৷ বলতে গেলে ছোটবেলা থেকেই তারকা হয়ে গেছেন তিনি। নন্দিতসুপারস্টারের একটাই দুর্নাম – তিনি গান গান, গাঁজাও ‘খান’!
ড্রিউ ব্যারিমোর
ড্রিউব্যারিমোরকে মাত্র ১১ মাস বয়সে বিজ্ঞাপন চিত্রে দেখা গিয়েছিল। কথাটা শুনলে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অভিনয় জগতে ব্যারিমোর পরিবার আগে থেকেই বিখ্যাত। আর সেই পরিবারেই জন্ম ড্রিউ ব্যারিমোরের। এমন বিখ্যাত পরিবারের মেয়ে যখন তখন কিছুটা হলেও তো তার তারকার তকমা লেগেছিল। শিশুকালেই মদ, সিগারেট, গাঁজা ইত্যাদির নেশায়আসক্ত হয়েছিলেন ড্রিউ ব্যারিমোর৷ তা জেনে অনেক ভক্তই হতাশ৷ ড্রিউব্যারিমোর অবশ্য সেই তারকা কম বয়সে নেশার রাজ্যে গেলেও সেই অতীতকে পিছনেফেলে যিনি খ্যাতির শিখরে উঠেছেন৷
জাস্টিন বিবার
মাত্র ১৩ বছর বয়সেই ২০০৭ সালে ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জাস্টিন বিবার। তার ঠিক দুই বছর পরই সব কিছু যেন বদলে যায় বিবারের। রীতিমত তারকা বনে যান তিনি। কানাডার নাগরিক বিবার তারকাদের তারকা হয়েও তার প্রতিবেশীদের কাছে খুবই অপ্রিয় একজন মানুষ। যদিও নেশা করে বাড়িতে হৈ-হুল্লোড় করার অভিযোগ এখন যদিও কম ওঠে, ঝড়োগতিতে গাড়ি চালানোর বদঅভ্যেসটা এখনো যায়নি।
লিন্ডসে লোহান
মাত্র ১১ বছর বয়সে ‘প্যারেন্ট ট্র্যাপ’ ছবিতে দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করে তারকা হয়ে উঠেন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক অভিনেত্রী-গায়িকা লিন্ডসে লোহান। কিন্তু এক সময় অভিনয় বা সংগীতের চেয়ে মদ্যপানই হয়ে যায় বড় নেশা। ফলে মাতালঅবস্থায় গাড়ি চালানো, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন – এ সবে প্রায় একাকার হয়ে যানলিন্ডসে। নিজেকে শোধরাতে সংশোধন কেন্দ্রেও গিয়েছেন বেশ কয়েকবার। কিন্তুএখনো হারানো উচ্চতায় ফিরতে পারেননি।
ব্রিটনি স্পিয়ার্স
১৯৯৯ সালে ‘বেবি ওয়ান মোর টাইম’ এবং ২০০০ সালে ‘উপস্….আই ডিড ইট এগেইন’ অ্যালবাম দিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেলেও ব্রিটনি স্পিয়ার্স কিন্তু তার অনেকআগে থেকেই সুপরিচিত৷ একচ্ছত্র সুখ্যাতি তিনিও ধরে রাখতে পারেননি৷মদ্যপানের অভ্যাস ছাড়তে তাকেও সংশোধন কেন্দ্রে যেতে হয়েছে৷ অতিরিক্তনেশার কারণে দেখা দিয়েছিল মনস্তাত্বিক সমস্যা৷ এখন বেশ ভালো আছেন ব্রিটনিস্পিয়ার্স৷ তাই সাফল্যের পথে ফেরার চেষ্টাও চলছে৷
মন্তব্য চালু নেই