অল্পের জন্য রেল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল যাত্রীরা
মির্জাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টারের গাফলতির কারণে পরপর ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুটি ট্রেন রেড়িয়ার নামানো ছাড়াই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ব্যস্ততম ধেরুয়া লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও কর্তব্যরত দুই গেইটম্যান ও আনসার সদস্যদের সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্তার কারণে সেই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
রেল এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী দ্রুতযান ট্রেনটি সকাল ১০.১০ মিনিটের দিকে কোন প্রকার সিগন্যাল ছাড়াই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ব্যস্ততম মির্জাপুরের ধেরুয়া রেল ক্রসিংয়ের দিকে আসতে থাকে। এ অবস্থা দেখে ওই লেভেল ক্রসিং এ কর্তব্যরত দুই গেটম্যান ও চার আনসার সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই লেভেল ক্রসিংয়ের উভয়পাশে মহাসড়কের ওপর হাত উচিয়ে দাঁড়িয়ে যান। এতে ব্যস্ততম মহাসড়কের চলাচলকারী যানবাহনগুলো থেমে যায় এবং ট্রেনটি নিবিঘ্নে লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করে। ফলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
এর ঠিক ৫ মিনিট পর কিছু বুঝে উঠার আগেই চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ৫০১ লোকাল ট্রেনটিও একইভাবে ওই লেভেল ক্রসিংয়ের দিকে আসতে থাকে। তখন ওই দুই গেইটম্যান মনির ও ইসমাইল হোসেন এবং আনসার সদস্য পিসি আব্দুল মালেক, মেহেদী হাসান, আলহাজ মিয়া ও আব্দুর রহিম একই পদ্ধতিতে দৌড়ে গিয়ে ওই লেভেল ক্রসিংয়ের উভয়পাশে মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে পড়েন। এতে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো থেমে যায় এবং ট্রেনটি নিবির্ঘ্নে ওই লেবেল ক্রসিং অতিক্রম করে। এতে আবারও বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। ওই সময় মহাসড়ক দিয়ে সাজ্জাত হোসেন নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান বলেও জানিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই