শেষ বারের মতো দেখতে পারলোনা মৃত মায়ের মুখ

ঝালকাঠিতে অসুস্থ্য মাকে চিকিৎসা করানো নিয়ে ঝগড়ার জের ছোটভাই ও স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করেছে বড়ভাই ও তার পুত্ররা

অসুস্থ্য মায়ের চিকিৎসা করানো নিয়ে ঝগড়ার জের বড়ভাই ও তার পুত্ররা ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করলে ঝালকাঠি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছোটভাই ও স্ত্রী শেষ বারের মতো মৃত মায়ের মুখটিও দেখতে পারলোনা। মাথায় ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কোপালে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের চানপুরা গ্রামে ছোটভাই খলিলুর রহমান (৩৫) ও তার স্ত্রী হেলেনুর বেগম (২৫) কান্না জড়িত কন্ঠে এ অভিযোগ করেন। অন্যদিকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় খলিলুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে আসামী ও তাদের সহযোগীরা মামলা তুলে নিতে ক্রমাগত হুমকি-ধূমকি দেওয়ায় হাসপাতালেও নিরাপত্তহীনতায় ভূগছে বলে জানিয়েছে।

মামলার বাদী চিকিৎসাধীন খলিলুর রহমান জানায়, বড়ভাই হবিব ওরফে হবিব হাং এর সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ এরজের তার বসতঘর থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। বেশ কয়েক দিন ধরে তাদের বৃদ্ধ মা অসুস্থ হয়ে পড়লে বড়ভাই হবিব তাকে ডাক্তার না দেখানোর কারনে ১৮ ফেব্রুয়ারী সকালে খলিল তার মাকে চিকিৎসা করাতে ঝালকাঠি শহরে আনতে চাইলে ‘ডাক্তার দেখানোর নাম করে ছোটভাই মায়ের নামের সম্পত্তি লেখিয়ে নেবে অজুহাতে’ বাধা দিলে ঝগড়ার একপর্যায়ে বড়ভাই হবিব তার পুত্র সনি হাওলাদার (২০), রাসেল (২৫) মেয়ে লিজা (১৯) ধাড়ালো গাছকাটা দা ও খলিল ও তার স্ত্রী হেলেনুর মাথা কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এমন কি তার আলমারী ভেঙ্গে নগদ ১ লাখ টাকা ও স্ত্রীর জন্য বিদেশ থেকে আনা ৫ভরি স্বর্নালংকার লুটে নেয়। তাদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি থানায় নিয়ে আসলে পুলিশের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে এ ব্যাপারে নামধারী ৫জন সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

কান্নায় ভেঙ্গে পরে খলিলুর রহমান আরো জানায়, আমাদের মারধর করার পর ২০ ফেব্রুয়ারী আমার বৃদ্ধ মা অসুস্থ্যতায় ভূগে মৃত্যুবরন করলে হতভাগ্য আমি তাকে শেষবারের মতো একবার দেখতেও পারলাম না। উপরন্তু আসামীরা তাদের সহযোগী নুরআলম,সেলিম মিনা, দেলোয়ার সহ কতিপয় লোক মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেওয়ায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।



মন্তব্য চালু নেই