অর্থপাচার বন্ধে স্থায়ী নীতি প্রণয়নের দাবি
‘বিদেশে টাকা পাঠানো কঠিন হলেও অর্থপাচার সহজ’ উল্লেখ করে ‘অনৈতিক অর্থপাচার বন্ধ করতে সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সাথে চুক্তি’ করার দাবি জানিয়েছে ইক্যুইটিবিডিসহ কয়েকটি সংগঠন।
এসময় তারা দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে অনৈতিক অর্থপ্রবাহ বন্ধ করতে স্থায়ী নীতি প্রণয়ন করারও দাবি জানায়।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক আমিনুল রশিদ বাবু, কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এএসএম বদরুল আলম, সদস্য জায়েদ ইকবাল খান, ইক্যুইটিবিডির সদস্য মোস্তফা কামাল আকন্দ, সৈয়দ আমিনুল হক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ডসহ অন্য বেশ কয়েকটি দেশ সারা পৃথিবীর দুর্নীতিবাজ ধনীদের টাকা জমা রাখার জন্য প্রশ্নহীন স্বর্গ তৈরি করে রেখেছে। এসব দেশের ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে টাকার উৎস সম্পর্কে তেমন প্রশ্ন করা হয় না। এমনকি গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। গ্রাহকের দেশের সরকার চাইলেও সে তথ্য প্রদান করা হয় না। সেই কারণে আমাদের দেশের ধনী ব্যক্তি আর রাজনৈতিক নেতারা টাকা জমান ‘সুইস ব্যাংকে’।
এসময় বক্তারা জানান, সুইস ব্যাংকগুলোতে এক বছরে বাংলাদেশের ধনীদের টাকার পরিমাণ বেড়েছে ৬২ শতাংশ। ২০১২ সালের শেষে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা এবং ২০১৩ সালের শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা।
অনৈতিক বা কালো টাকা পাচাররোধে সংগঠনগুলো কিছু দাবি বা পরামর্শ তুলে ধরেন।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- অন্যদলের সরকারকে দোষারোপ বন্ধ করে অর্থপাচার বন্ধ করতে হবে। সংঘাতপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে, যাতে বিনিয়োগকারীরা দেশে টাকা রাখা নিরাপদ বোধ করে। বিদেশে ভুয়া কোম্পানি খুলে ওভার বা আন্ডার ইনভয়েসিং এর মাধ্যমে অর্থপাচার রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করাসহ সে টাকার ওপর রাজস্ব আদায় করতে হবে।
মন্তব্য চালু নেই