অভিজিৎকে হত্যার হুমকির কথা স্বীকার :

অভিজিৎ হত্যায় ফারাবী গ্রেফতার

অভিজিৎকে হত্যার হুমকির কথা স্বীকার ফারাবীর
লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যার হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার হওয়া শাফিউর রহমান ফারাবী।

ফারাবীকে গ্রেফতারের পর ঢাকায় র‌্যাব সদরদপ্তরে সংস্থাটির মিডিয়া শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মুফতি মাহমুদ জানান, ফারাবী নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১০ সাথে বিভিন্ন নাশকতা ও ভাঙচুরের মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এক মাস পর জামিনে তিনি মুক্ত হন।

এরপর থেকে ফারাবী ব্লগে বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় উগ্রবাদমূলক লেখালেখি করতেন। আর মুক্তমনা লেখক যারা ব্লগে তাদরে মতাদর্শের বাইরে লেখালেখি করতেন তাদের প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতেন।

অভিজিৎ হত্যায় ফারাবী গ্রেফতার

লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন শাফিউর রহমান ফারাবীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।

ফারাবীর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সদর উপজেলার কুমারশীল মোড়ে।

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, ফারাবী একসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবিরের নেতা ছিলেন। তিনি ব্লগার অভিজিতকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। তারও আগে তিনি ব্লগার রাজীব হায়দারকেও হত্যার হুমকি দেন।

ফারাবী অভিজিৎকে হত্যা করতে চান—এমন মন্তব্য ফেসবুকে করেন। এতে বলা হয়, ‘অভিজিৎ রায় আমেরিকায় থাকে। তাই তাকে এখন হত্যা করা সম্ভব না। তবে সে যখন দেশে আসবে তখন তাকে হত্যা করা হবে।’

ব্লগার রাজীব হত্যার ঘটনায়ও ফারাবীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।

অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর আনসার বাংলা-৭ নামের একটি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করে টুইট করে। এ হত্যাকাণ্ডকে তারা ‘বিজয়’ হিসেবে দাবিও করে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের কাছে বটতলায় অভিজিৎ ও তার স্ত্রীর ওপর হামলা হয়। অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে তারা এ হামলার শিকার হন। এ সময় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের কোপে তারা গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিজিৎ। এই হত্যাকাণ্ডের পরদিন অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।



মন্তব্য চালু নেই