অভিজিৎ হত্যায় উল্লাসকারীদেরও শনাক্ত করা হচ্ছে

অমর একুশে গ্রন্থমেলা চত্বরে স্থাপিত ৪০টি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে খোঁজা হচ্ছে ব্লগার-লেখক ড. অভিজিৎ রায়ের ঘাতকদের। একই সঙ্গে তার মৃত্যুর পর উল্লাস প্রকাশ করে যারা বিভিন্ন ব্লগ ও ফেসবুকে মন্তব্য করছে তাদের পরিচয়ও শনাক্তে কাজ করছে সংশ্লিষ্টরা।

পুলিশের রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান  বলেন, বইমেলা কেন্দ্রিক ৪০টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তবে যেখানে অভিজিৎ রায় খুন হয়েছে, সেখানে কোনো সিসি ক্যামেরা ছিল না। যেহেতু খুনিরা আগে থেকেই তাকে অনুসরণ করছিল, তাই ওই সময়ের বইমেলা কেন্দ্রিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত চলছে।

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ জানান, বাংলাদেশে আসার পর ফেসবুক ও ব্লগে অভিজিৎ একুশে বইমেলায় তার প্রকাশিত বই সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন। বই প্রকাশকে কেন্দ্র করে দেশে এসেছিলেন, এটিও তিনি সেখানে উল্লেখ করেছেন। ফেসবুক ও ব্লগের এসব তথ্য ঘাতকরা আগে থেকে ফলো করছিল। এর পাশাপাশি তার মোবাইল ফোনে কোনো সন্দেহজনক কল আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।

অভিজিৎ হত্যার ঘটনার পর মৌলবাদী বিভিন্ন মতাদর্শের ব্লগে উল্লাস প্রকাশ করেছে এবং তাকে ধর্মবিদ্বেষী প্রমাণের সপক্ষে নানা তথ্য দিয়েছে। ওইসব ব্লগে উল্লাস প্রকাশকারীদের সঙ্গে হত্যার কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা র‌্যাব খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা। ইতোমধ্যে অন্তত ৪টি ব্লগ ব্যবহারকারীদের র‌্যাব শনাক্ত করেছে যারা অভিজিৎ হত্যার পর উল্লাস প্রকাশ করেছে। ব্লগার আহমেদ রাজীব হত্যার নেপথ্যে প্রধান পরিকল্পক রানাকে খুঁজছে ডিবি ও র‌্যাব।

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিজিতের খুনিদের গ্রেপ্তার করতে তদন্তে আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। পুলিশের একাধিক টিম ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কাজ করছে। জঙ্গিরাই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। অনেকগুলো বিষয় সামনে রেখে তদন্ত চলছে।



মন্তব্য চালু নেই