অবৈধ স্থাপনা ও জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যায় জর্জড়িত সাতক্ষীরা বিসিক শিল্প নগরী
অবৈধ স্থাপনা ও জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যায় জড়িয়ে রয়েছে সাতক্ষীরা বিসিক শিল্প নগরী। অথচ এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বিশেষ অবদান রেখেই চলছে। সমস্যাগুলো সমাধানে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিল্প মালিকরা। সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৭ সালের মার্চ মাসে সাতক্ষীরার বিনেরপোতায় ১৫.৭৫ একর জমি নিয়ে বিসিক শিল্প নগরীর ভূমি সংরক্ষন এবং ১৯৯১-৯২ অর্থ বছরে কার্যক্রম শুরু হয়। এতে বর্তমানে ২৩টি ইউনিটে ৮৬টি পল্ট বিভিন্ন উদ্দ্যোক্তা’র মাঝে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এখান থেকে প্রতি বছর ১০০ কোটি টাকার বেশি বিভিন্ন পন্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারজাত করা হয়। এর সাথে প্রায় ১ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান রয়েছে। কিন্তু অবৈধ স্থাপনায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির ফলে তা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
বিসিক এলাকার শিল্প মালিকরা পরিবর্তনকে বলেন, শিল্প এলাকায় পাকা ও অভ্যান্তরীণ ড্রেন থাকলেও বর্ষার পানি নিষ্কাশনে কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় এবং বিসিক অফিসের সামনে প্রধান সড়কের পাশে গর্তে সবসময় শিল্পকারখানা নির্গত পানি পচে জমে থাকে। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এসব কারণে শিল্প এলাকায় মালামাল আনা নেয়াসহ চলাচলে মারাত্মক সমস্যায় সৃষ্টি হচ্ছে।
বিসিক শিল্প এলাকার গৃহিনী সেলিনা পারভীন জানান, এই এলাকায় ভাটা ও খাল ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া নদী কনন করে যে মাটি ফেলা হচ্ছে তা গ্রাম ছাড়া অনেক উচু ফলে আর একটু ভারী বৃষ্টি হলেই আমাদের ঘর-বাড়ি তলিয়ে যাবে।
বিসিক শিল্প নগরীর উপ ব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুল ওদুদ বলেন, বিসিক শিল্প নগরী সাতক্ষীরার বর্তমান প্রধান সমস্যা হলো জলাবদ্ধতা এবং বিসিক শিল্প এলাকার সামনের প্রধান সড়কের পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের যে অতিরিক্ত জায়গা থাকার কথা থাকলেও অবৈধ স্থাপনা ও ঘের করায় সেটি নেই। এছাড়া বিসিকের পিছনের খালটি অবৈধ দখল ও স্থাপনার কারণে পানি নিস্কাসনের পথ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শিল্প কারখানার কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে এবং বদ্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে বিসিক শিল্প নগরী।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, আমি ইতিমধ্যে শিল্প নগরীর জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেছি। কিন্তু শিল্প নগর এলাকার পানি নিস্কাসনের কোন পথ পাওয়া যাচ্ছেনা। পিছনে যে নদী আছে সেটিও লেবেলে অনেক উচু ফলে এই জলাবদ্ধতা নিরসনের কোন ব্যবস্থা আমরা পাচ্ছিনা। এব্যাপারে আগামী ৫ জুলাই শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মিটিং আহবান করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই