অবৈধ মোবাইল সেট আমদানি ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু
অবৈধ, নকল ও নিম্নমানের মোবাইল সেট আমদানি ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এটা অব্যাহত থাকবে।
সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সচিব মো. সরওয়ার আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিটিআরসির পূর্ব অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে মোবাইল সেট আমদানি ও বাজারজাত না করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আমদানি নীতি আদেশ ২০১২-২০১৫ ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ অনুযায়ী যেকোনো প্রকার বেতার যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বেশকিছু প্রতিষ্ঠিত ও সুপরিচিত ব্র্যান্ডের নকল ও নিম্নমানের মোবাইল ফোন বাজারজাত হচ্ছে। বিটিআরসির অনাপত্তিপত্র ছাড়াই বেশকিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে নকল ও ওয়ারেন্টিবিহীন নিম্নমানের মোবাইলফোন সেট আমদানি ও বাজারজাত করছে। বিটিআরসির বিশ্লেষণে এসব নকল ও নিম্নমানের মোবাইলফোন সেটের বিভিন্ন ধরনের রেডিয়েশন জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
আরো লক্ষ্য করা যায়, ওয়ারেন্টিবিহীন এসব সেট অল্প কিছু দিন পরেই বিকল হয়ে যায়। ফলে ক্রেতা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অপরদিকে মোবাইল ফোন সেটগুলো নকল হওয়ায় এর ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) আন্তর্জাতিক মোবাইল যন্ত্রপাতি পরিচিতি নম্বর ঠিক থাকে না। এর ফলে আইএমইআই নম্বরবিহীন এই ফোনগুলো হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে তা চিহ্নিত করা যায় না। সর্বোপরি এসব ফোন দ্বারা অপরাধ কার্যক্রম সংঘটিত হলে অপরাধীদের সনাক্ত করা দুঃসাধ্য হওয়ায় তা জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃংঙ্খলার জন্যও হুমকি সৃষ্টি করে। এ ছাড়া অবৈধভাবে আমদানি হওয়ায় সরকারও প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিটিআরসির অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনসেটসহ বেতারযন্ত্র আমদানি ও বাজারজাত সংক্রান্ত অবৈধ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই