অবৈধ মেলামেশায় গর্ভবতী, নির্যাতনে মৃত্যু
দুলাভাইয়ের চাপে অবৈধ মেলামেশায় গর্ভবতী হয়েও রেহাই পেলো না এক তরুণী। ৬ মাসের অন্তঃস্বত্তা অবস্থায় পাশবিক নির্যাতন করে লম্পট দুলাভাই ও তার দুই বন্ধু। এতে মারাত্বক অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার রইসপুর গ্রামে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার রইসপুর গ্রামের তরুণী দেবহাটার কুলিয়া গ্রামের আসাদুল চেয়ারম্যানের ছেলে দুলাভাই দেলোয়ার হোসেন শাওনের বাড়িতে থাকতো। সেখানে শাওনের বন্ধু কুলিয়া গ্রামের মাওলা বক্স গাজীর ছেলে তুহিন ও আবু তালেবের ছেলে আরিফ প্রায়ই ওই তরুণীকে কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি দুলাভাই শাওনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
এক পর্যায়ে শাওনের সম্মতিতেই তিন বন্ধু মিলে ধর্ষণ করতো ওই তরুণীকে। দিনের পর দিন মেলামেশা করায় অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে পড়ে সে। বিষয়টি তাদের জানানোর পর গর্ভপাত ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে শাওনের বাগানবাড়িতে নিয়ে যায় তরুণীকে। সেখানে কয়েকদিন আটকে রেখে পালাক্রমে পাশবিক নির্যাতনে মেতে ওঠে শাওন ও তার বন্ধুরা।
এঘটনায় আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে তরুণী। গত বুধবার বিকেল থেকে চেয়ারম্যান আসাদুলের আপন ভগ্নিপতি স্থানীয় সবুর ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়। এতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। অবশেষে অবস্থা বেগতিক দেখে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মৃত দেখে ভর্তি না করেই ফেরত পাঠান। অবস্থা বুঝে ময়না তদন্ত ছাড়াই হাসপাতাল থেকে গোপনে লাশ নিয়ে দুলাভাই শাওন ও তার দুই বন্ধু তুহিন, আরিফ মিলে লাশ পাঠিয়ে দেন শ্বশুরবাড়িতে। কাউকে কিছুই না জানিয়ে শুক্রবার দুপুরে দাফনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
এমন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর সার্কেলের এএসপি মনিরুজ্জামান সেখানে পৌঁছে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সাতক্ষীরায় নিয়ে আসেন। সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসিরউদ্দিন ডাক্তারদের বরাত দিয়ে জানান, ওই তরুণীর পেটে ৬ মাসের শিশু ছিল। তার ওপর শারিরিক নির্যাতন হয়েছে।
এবিষয়ে সদর হাসপাতালের দায়িত্বশীল সূত্র স্বীকার করে বলেছে শনিবার রিপোর্ট দেয়া হবে।
এদিকে সর্বশেষ খবর রাত ৮ টায় জানা গেছে, ধর্ষক দুলাভাই দেলোয়ার হোসেনের মা দেবহাটা উপজেলা মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান আফরোজা পারভীনকে আটক করেছে সদর থানার পুলিশ।
পরের সংবাদ »
মন্তব্য চালু নেই