অবিশ্বাস্য! এক ম্যাচেই পাঁচ আত্মঘাতি গোল (ভিডিও)

গোলের খেলা ফুটবল। গোলই জয় পরাজয় নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু একটি ম্যাচে কয়টি আত্মঘাতি গোল হতে পারে? ১টি, ২টি বা ৩টি। এমন ধারণাকেও হার মানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া প্রিমিয়ার লিগের একটি ম্যাচ। ওই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পিএসএস স্লেম্যান ও পিএসআইএস সেমারাং।

দুটি দলই হারার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছিল। প্রথমে স্লেম্যান ২টি আত্মঘাতি গোল দিয়ে হারের জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকে। কিন্তু শেষ তিন মিনিটে ৩টি আত্মঘাতি গোল করে পিএসএস স্লেম্যানকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে জিতিয়ে দেয় সেমারাং।

উভয় দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল হতে দেখেন। শুধু রক্ষণভাগ নয়, বল ধরা যার দায়িত্ব সেই গোলরক্ষকও গোল হতে দেন। তিনিও তাকিয়ে তাকিয়ে গোল হওয়ায় দৃশ্য উপভোগ করেন।

কেন উভয় দলের এমন হারতে চাওয়ার প্রচেষ্টা? স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায় এই ম্যাচে যে দল জয় পাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে তাদের খেলতে হবে সবচেয়ে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। আর সেটার হাত থেকে রক্ষা পেতেই তারা আত্মঘাতি গোলের উৎসবে মেতে ওঠে। কিন্তু বিষয়টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে টনক নড়ে লিগ আয়োজক কমিটির। তারা প্রিমিয়ার লিগ থেকে উভয় ক্লাবকেই বরখাস্ত করেছে।

ইন্দোনেশিয়ায় ম্যাচ পাতানো ও ফুটবলে মাফিয়া নতুন কিছু নয়। ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়া ফুটবল সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব পালন করা নুরদিন হালিদ ম্যাচ পাতানো ও মাফিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকান অভিযোগে আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। পাশাপাশি হাজতবাসও করতে হয়েছিল তাকে।
এখানেই শেষ নয়, ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলেও ইন্দোনেশিয়া আত্মঘাতি গোল করেছিল। যাতে সেমিফাইনালে শক্তিশালী ভিয়েতনামের মুখোমুখি হতে না হয়। ওই ম্যাচে আত্মঘাতি গোল করা মুর্শিদ ইফেন্দিকে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা আজীবন নিষিদ্ধ করেছিল।

http://www.youtube.com/watch?v=HLKZ4h3qwyY



মন্তব্য চালু নেই