অবাধ নির্বাচন দিন, নইলে এরশাদের পরিণতি হবে

দ্রুততম সময়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না করলে সরকারকে পেছনের দরজা দিয়ে পালাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা : নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা’-শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারী দেন তিনি। ‘বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম’ নামের একটি সংগঠন এ সভার আয়োজন করে।

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘দেশে সন্ত্রাসমুখর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও ভোটকেন্দ্রের আশপাশেও যেতে পারছেন না ভোটাররা। সাহস করেও সেখানে যেতে পারছে না কেউ। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী অংশের লোকজন গেলে তারাও গুলি খেয়ে মৃত্যুবরণ করছে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২২ জনেরও বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। এ মৃত্যুর দায় কে নেবে? দায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। কারণ, তারা সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।’

সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ কোনোদিন লাভবান হতে পারেনি, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়ও থাকতে পারেনি। আইয়ুব খান-ইয়াহিয়া-এরশাদ চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা পারেনি। শেষ পর্যন্ত পেছনের দরজা দিয়ে তারা পালিয়ে গেছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না করলেও আপনাদেরকেও পেছনের দরজা দিয়ে পালাতে হবে। এখনো সময় আছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়াকে গুরুত্ব দিন। অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসুন।’

নোমান আরো বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য আমরা ইসির পুনর্গঠন চাই। সকল নেতা-কর্মীর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারপূর্বক তাদের মুক্তি চাই। আমরা চাই, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। এই রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করে, তাহলে তাদের সহযোগিতা গ্রহণের পাশাপাশি আমরাও সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি।’

বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উপদেষ্টা মো. আতিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন- জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি আহসান হাবিব লিংকন, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) যুগ্ম মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই