অবসর ভেঙে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন মামুনুল
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ায় অনেকটা ক্ষোভ-অভিমান থেকেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন মামুনুল ইসলাম। কিছুদিন যাওয়ার পর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। ম্যানেজমেন্ট চাইলে আবারও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ফিরতে চান এই মিডফিল্ডার।
বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে উপস্থিত হয়ে মামুনুল জানান, ‘আমার ফেরা না ফেরা নির্ভর করছে আমাদের ম্যানেজমেন্টের ওপর। আমি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছি, বেশ কিছুক্ষণ আলাপ করেছি। তিনি যদি মনে করেন, জাতীয় দলে আরও কয়েক বছর আমার খেলার প্রয়োজন আছে, তাহলে আমি ডাক শোনার অপেক্ষায় আছি।’
সম্প্রতি ভুটানের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে ওঠার প্লে-অফের প্রথম লেগের ম্যাচের দলে ঠাঁই পাননি মামুনুল। বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন বেলজিয়ান কোচ টম সেইন্টফিট তাকে দলের বাইরে রেখে দল ঘোষণা করেছিলেন। ভুটান ম্যাচের দলে জায়গা না পাওয়ার ক্ষোভে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন মামুনুল।
এদিকে মামুনুল ফিরতে চাইলেও এই মুহূর্তে তাকে ফের দলে নেওয়ার পক্ষে নন কোচ সেইন্টফিট। বিশেষ করে লিগের সর্বশেষ খেলায় মামুনুলের দল চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে আরামবাগের গোলশূন্য ড্রয়ের ম্যাচটি দেখেছেন জাতীয় কোচ। এ প্রসঙ্গে কোচ বলেছেন, ‘ম্যাচে মামুনুলকে এমন বিশেষ কিছু আমি করতে দেখিনি যাতে তাকে আমার দলে ডাকতে হবে।’
এছাড়াও কয়েকদিন আগে মামুনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি নাকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এবং এর সভাপতি কাজী সালাউদ্দীনকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন। বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে গিয়ে সভাপতির কাছে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন মামুনুল। এসময় তার স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।
মামুনুল বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমার নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু বাজে মন্তব্য করা হয়েছিল। ওই অ্যাকাউন্ট আমার নয়, ওটা ভুয়া। সালাউদ্দীন ভাইয়ের একটা কথার ভিত্তিতে বাজে মন্তব্য করা হয়েছিল। আমার প্রকৃত যে আইডি, তা আমার স্ত্রী পরিচালনা করেন। আমি কোনও ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে মাথা ঘামাই না। আর এই বিষয়টিই আমি বাফুফে সভাপতির কাছে তুলে ধরেছি। আমি কোনোভাবে এই কাজ করতে পারি না।’
মন্তব্য চালু নেই