অবশেষে সেই ‘যৌনত্রাস’ ফারুক গ্রেপ্তার
ফেনী জেলা শহরে ‘যৌনত্রাস’ হিসেবে পরিচিত ওমর ফারুককে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাকরি দেয়ার নামে ফেনী সরকারি কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার পর থেকে পলাতক ছিলেন।
শুক্রবার দুপুর একটার দিকে ঢাকার বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওমর ফারুক ফেনী শহরের কুমিল্লা বাস স্ট্যান্ড এলাকার লতিফ টাওয়ারের মলিক হাজী আবদুল লতিফের ছোট ছেলে।
গত ১৯ এপ্রিল নিজেদের বিল্ডিং লতিফ টাওয়ারের তৃতীয় তলায় ভাড়া দেয়া টাইম পাস রেস্টুরেন্টে নিয়ে এসে ফেনী সরকারি কলেজের স্নাতক শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউল হক খোন্দকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওমর ফারুকের অবস্থান শনাক্ত করেন। এরপর সুকৌশলে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও সেকেন্ড অফিসার জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার একটি রেস্টুরেন্ট থেকে ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটির পুলিশি হেফাজতে ফেনী সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল দুপুরে টাইম পাস রেস্টুরেন্টে ডেকে এনে ভেতরের একটি কক্ষে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ছাত্রীটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগে ওমর ফারুক পালিয়ে যায়। ওইদিন রাতে ফেনী মডেল থানায় মামলা হয়। ওই ঘটনার সাত মাস আগেও একই কায়দায় অন্য এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। সেবারও তিনি ঢাকায় পালিয়ে যান। ১৮ এপিল ফেনীতে ফিরে ফের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।
মন্তব্য চালু নেই