অবশেষে সেই তরুণীর অনশনে হারলো শ্বশুরবাড়ি
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ): অবশেষে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হার মানলো অনশনরত সেই তরুণীরই কাছে।
সোমবার রাতে তাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিয়ে ঘরে তুলে নিয়েছে। বর্তমানে শ্বশুরবাড়ি অবস্থান করছেন তিনি।
অনশন করা ওই তরুণীর বাড়ি গৌরীপুর পৌর শহরের স্টেশন রোড এলাকায়। তরুণীর দাবি, গৌরীপুর পৌর শহরের বাড়িওয়ালাপাড়ার বাসিন্দা রতন সরকারের ছেলে রাজীব সরকারের সঙ্গে পাঁচ বছরের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। দুই বছর আগে রাজীব সরকার আমাকে আদালতে গিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি আমাদের ঘনিষ্ঠজন ছাড়া আর কেউ জানতো না। বিয়ের পর আমরা স্বামী-স্ত্রী ময়মনসিংহ শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে একত্রে নিয়ে বসবাস করেছি। ওই সময় রাজীব আমাকে বলতো, সে প্রতিষ্ঠিত হলেই আমাকে তাদের বাড়িতে তুলে নিবে।’ কিন্তু গত এক মাস ধরে রাজীব আমার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ রাখছে না। পরবর্তীতে জানতে পারলাম সে অন্যত্র বিয়ের চেষ্টা করছে। আমাকে বিয়ে করার বিষয়টিও সে অস্বীকার করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে বিয়ের প্রমাণ আছে। তাই স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতির দাবি আদায়ের জন্য আমি অনশনের সিদ্ধান্ত নেই।
এদিকে, বেলা বেড়ে রাত গড়ালেও তরুণী অনশন ভঙ্গ না করে নিজের দাবি আদায়ে সিদ্ধান্তে অটল থাকায় স্থানীয় লোকজন, জনপ্রতিনিধি, ও হিন্দু সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা রাজীবের পরিবারকে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য চাপ দেয়। সোমবার রাত ২টায় রাজিবের পরিবার অনশনরত তরুণীকে ঘরে তুলে নেয়।
মঙ্গলবার সকালে রাজিবের বাড়ির কয়েকজন প্রতিবেশী জানায়, অনশনের বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। রাজিবরা মেয়েটিকে ঘরে তুলে নিয়েছে। মেয়েটি শ্বশুর বাড়িতেই রাত কাটিয়েছে। বর্তমানে সে শশুরবাড়িতেই আছে।
মঙ্গলবার সকালে গৌরীপুর পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেওয়ান মাসুদুর রহমান খান সুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাজীবের পরিবারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সোমবার রাতে সে বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছেছে। তারা মেয়েটিকে ঘরে তুলে নিয়েছে। বর্তমানে মেয়েটি সুস্থ আছে। এবং তার স্বামীর বাড়িতেই অবস্থান করছে।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী শেখ জানান, ওই তরুণীর অনশনের খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল সোমবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রাতেই অনশনের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে।
আরো পড়ৃন :
মন্তব্য চালু নেই