অবশেষে খোঁজ পাওয়া গেল ভরতের সবথেকে নিরাপদ ‘পানির বোতলের’

এদেশের পাবলিক তাকে ‘মিনের‌্যাল ওয়াটার’ বলে ডাকলেও, তার আসল নাম ‘প্যাকেজ্‌ড ড্রিংকিং ওয়াটার’। মিনের‌্যাল ওয়াটার থেকে তার দূরত্ব শত-সহস্র যোজন। যে নামেই ডাকা হোক না কেন, গত দুই দশকে ভারতে পানীয় জল সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়াতে এই বোতলবন্দি জলের বিপণন বিশেষ সহায়ক হয়েছিল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সে হিসেবে দেখলে, এদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ যত্রতত্র জলপানের স্বভাব থেকে বিরত হয়ে বোতল-নির্ভর হয়ে পড়েন গত দুই দশকে। আবার এই নির্ভরতাকে কাজে লাগিয়েই বেশ কিছু ভুঁইফোঁড় পেট-বোতলে অপরিশোধিত জল পুরে সিল করে বাজারে ছাড়তে শুরু করে। ভারতের বাজারে ‘বোতলের জল’-এর ব্র্যান্ড বিপ্লব ঘটে যায় অচিরেই। কিন্তু এই ব্র্যান্ড-অরণ্যে কোন জলটি নিরাপদ, তা নিয়ে ধন্ধ বাড়তে থাকে।

সম্প্রতি একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, বিসলেরি বা অ্যাকোয়াফিনা-র মতো ঝক্কাস ব্র্যান্ড নয়, নেহাতই এক সাদামাটা ‘বোতলের জল’-এ সবথেকে বিশ্বাসযোগ্য। আর এই জলটি প্রস্তুত করে একান্তভাবেই সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান, যার নাম ভারতীয় রেল। হ্যাঁ, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন কর্তৃক নির্মিত ও পরিবেশিত ‘রেল নীর’-ই ২০১৬ সালের ‘ইন্ডিয়াজ মোস্ট ট্রাস্টেড ব্র্যান্ড’-এর শিরোপা লাভ করেছে। এই শিরোপা তাকে প্রদান করেছে আইবিসি ইনফোমিডিয়া নামের এক বেসরকারি সংস্থা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি ‘ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ডকনসালটিং করপোরেশন’-এর একটি অঙ্গ এই আইবিসি এক লম্বা খতিয়ান নেওয়ার পরেই ‘রেল নীর’-কে এই শিরোপা প্রদান করেছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫-২০১৬-এ ‘রেল নীর’ ১১৮.৪৮ কোটি টাকার ব্যাবসা করেছে, যেখানে ২০১৪-২০১৫-এ এই পরিমাণটি ছিল ৮১.০৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৪৬ শতাংশ গ্রোথ লক্ষ করা গিয়েছে এই ব্যবসায়। গত ১১ অগস্ট তারিখে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ‘রেল নীর’-এর বিক্রয়ে রেল স্টেশনে বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করায় তার বিক্রি অবধারিতভাবে বেড়ে যায়। এই মুহূর্তে আরও বেশি ‘রেল নীর’ প্রস্তুত-কেন্দ্র নির্মাণের প্রয়োজন অনুভব করছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম করপোরেশন।



মন্তব্য চালু নেই