অবশেষে ইসির বোধোদয়

আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য অবমাননাকর প্রতীক বাদ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সিটি ও পৌরসভা নির্বাচনের নারীদের জন্য যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয় তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হয়। এজন্য ইউপি নির্বাচনে বেশকিছু প্রতীক বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো ইসি।

গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা (সংশোধন) নিয়ে কমিশন বৈঠকে নারী প্রতীক পরিবর্তনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য নির্ধারিত বেশকিছু প্রতীক বাদ দেয়া হয়েছে। যে সব প্রতীকে নারীরা অস্বস্তি বোধ করে সে সব প্রতীক আর থাকবে না। নতুন প্রতীক নির্ধারণ করে বিধিমালা পরিবর্তন করা হচ্ছে। দু-একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হবে।

তিন সিটি নির্বাচন ও পৌরসভা নির্বাচনে নির্ধারিত নারী প্রতীক নিয়ে নারী কাউন্সিলরসহ নারী সমাজ তীব্র আপত্তি জানায়। তা ছাড়া নারী সংগঠনগুলোও ইসির এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা পুরুষতান্ত্রিকতার ফল বলে কঠোর সমালোচনা করে।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ অনুযায়ী সংরক্ষিত নারী আসনে নির্ধারিত প্রতীক ছিল কড়াই, গলার হার, চিরুনি, জবাফুল, নূপুর, পাউরুটি, পেন্সিল কাটার, বিড়াল, বেগুন ও স্কুলব্যাগ।

তবে কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ইউপি নির্বাচন বিধিমালার সংশোধনী খসড়াতে কলম, ক্যামেরা, তালগাছ, জিরাফ, বই, বক, কলস, মাইক, হেলিকপ্টার ও সূর্যমুখী এই ১০ প্রতীক নির্ধারণ করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই