অন্ধ অবস্থায় সংসারের দৈনন্দিন কাজ কর্ম করে যাচ্ছে রাউজানে দিনমজুর অন্ধ আবুল বশর

চট্টগ্রাম রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আরব ফকির বাড়ীর অন্ধ আবুল বশর (৭৫) ইশারায় সবকিছু করতে পারে। ১৯৪০ ইং জন্ম নেওয়া অন্ধ আবুল বশর জন্মের সাত বছর পর থেকে বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে তার দুটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত অন্ধ অবস্থায় সংসারের কাজ কর্ম মানুষের দৈনন্দিন কাজ করে যাচ্ছে অনায়াসে।

সরেজমিনে গিয়ে তার সাথে আলাপকালে সে বলে, সাংবাদিক সাহেব আসসালামু আলায়কুম আপনি কেমন আছেন। তার অন্ধ চোখ নিয়ে সে বাড়ী থেকে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন করে কাজ কর্ম সারেন। সে জানায় তার প্রথম স্ত্রী সংসারে দুই কন্যা ও এক সন্তান রয়েছে। মেয়ে দুটিকে বিবাহ দিয়েছেন। ছেলেকেও বিবাহ করিয়েছেন। নাতি নাতনি রয়েছে তার। প্রথম স্ত্রীকে বিবাহ করেছেন কুমিল্লা থেকে।

গত ২৪ বছর আগে সে স্ত্রী মাবিয়া খাতুন মারা গেলে ২য় বিবাহ করেন ফটিকছড়ি ধর্মপুর এলাকার নুর জাহানকে। সে সংসারে একটি ছেলে হলেও অসুস্থতায় ছেলেটি মারাযান। এখন সে স্ত্রীকে নিয়ে ভালই কাটছে তার সংসার। সেই প্রতিদিন বর্গাপালিত গরুর জন্য ইশারায় খড় খেটে আনেন বিল থেকে। অন্ধ চোখে দিনপাল্লা কাজ করে মানুষের। করেন মাঠির কাজও । ইশারায় প্রতিদিন দৈনন্দিন কাজ সারেন। আশ্চার্য্য বিষয় হল ছোট বড় নির্ণয় করে টাকাও চিনেন সে। বাজারে গিয়ে ঘরের জন্য কাঁচা তরি তরকারি ও কিনেন অন্ধ আবুল বশর।

সে জানান আমার সাত বছর বয়সে যখন আমার বসন্ত রোগ হয় তখন আমার পিতা বুছা মিয়া আমাকে চট্টগ্রাম শহরে মেডিকেল নিয়ে যায়। কিন্ত টাকার অভাবে আমার পিতা তখনকার ভাল চিকিৎসা আমার জন্য করাতে পারেনি। সে আরো জানায় অন্ধ হলেও আল্লাহ আমাকে খুব ভালই চলাচ্ছে। সে কারো থেকে ভিক্ষা নেননা । নিজের পায়ের উপর দাড়িয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছে। পরে বিবাহ করায় আগের ঘরের ছেলে পিতাকে তেমন গুরুত্ব দেয়না। হলদিয়া ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন তাকে অন্ধ ভাতায় অন্তভুক্তি করে দিয়েছিল বলে সে জানান। সেই প্রতি তিন মাসে পনেরশ টাকা করে পায়।

এদিকে চরিত্রবান অন্ধ আবুল বশরকে স্থানীয়রা খুবই ভাল জানেন। বাড়ীতে বসে দৈনিক দশ বার বার হুক্কার টান নেন। আবুল বশরের দিনকাল ভালই চলছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য আহমদ ছফা।

 

ডাঃ রাজা মিয়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদ্যাপন
চট্টগ্রাম রাউজানে ডাঃ রাজা মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদ্যাপন উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল 6978অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী মিলাদ মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে তকরীর পেশ করেন কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আল্লামা বদিউল আলম আহমদী।

বিশেষ বক্তা ছিলেন উত্তর গুজরা বায়তুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক আল্লামা জাফর আহমদ মানিকী। মাহফিলে বক্তারা বলেন নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে আজকে যুবকেরা নানা অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বে হেদায়তের বার্তা নিয়ে এ ধরার বুকে আগমন ঘটেছিল বিশ্ব জাহানের রহমত হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর। আল্লাহর প্রিয় হাবীব এ ধরায় আগমনের পর থেকেই মানুষকে সত্যের পথে, কল্যানের পথে আহবান জানিয়েছিলেন। তাদের জীবনী অনুসরণ করতে পারলেই ইহকালীন মুক্তি এবং পরকালীন শান্তি মিলবে। হালিশহর মুন্সিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হক মাস্টারের সভাপতিত্বে ও রাউজান প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক নেজাম উদ্দিন রানার পরিচালনায় অতিথি ছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ আহমদ, পশ্চিম গুজরা ইউ পি সদস্য আব্দুল মালেক, বিনাজুরী ক্লাস্টার প্রধান মোহাম্মদ সোলায়মান।

বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম বেগম, সহকারী শিক্ষক চন্দন খাস্তগীর, ইতি বড়–য়া, শিব দাশ, জেসমিন আকতার, মিলি বড়–য়া।



মন্তব্য চালু নেই