অন্তর্মুখি হলে কীভাবে খুঁজবেন চাকরি?

সব মানুষই নিজেকে সবার সামনে প্রকাশ করতে পারেন না। কিছু মানুষ লজ্জা বা ভয় বা উদাসীনতার জন্য নিজেকে মেলে ধরতে পারেন না। চাকরির প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের জন্য কঠিন হয়ে থাকে। অপরিচিত মানুষের সঙ্গে ফোনে কথা বলা, নতুন স্থান ও নতুন চেহারা- এ সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাদের কষ্ট হয়।

কর্মক্ষেত্রে অন্তর্মুখি বা বহির্মুখি মনোভাব খুব একটা প্রভাব পড়ে না। মানুষের কাছে নিজেকে জনপ্রিয় করার জন্য আপনাকে খুব বেশি কিছু করতে হবে না। কীভাবে আপনি নিজেকে সবার সামনে মেলে ধরবেন এবং নিজের শক্তি সংরক্ষণ করবেন চলুন সেটা জেনে নেই।

১. চিন্তা করে সাজান
অন্তর্মুখি মানুষ যে কোনও বিষয়ে গভীর চিন্তা করে এবং সেটাকে কাজে পরিণত করতে সময় নেয়। এক্ষেত্রে আপনি জীবনবৃত্তান্তের সঙ্গে কভার লেটার অথবা আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন। আপনার দক্ষতা ও সামর্থ্যকে সুচিন্তিতভাবে সাজান। এভাবেই আপনি নিজেকে চাকরিদাতার কাছে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি কভার লেটারে আপনার জীবনবৃত্তান্ত সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ না করে সেখানে আপনার অর্জন অথবা জীবনের কোনও সফলতার গল্প যা চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত তা তুলে ধরতে পারেন।

২. ফোনে সাক্ষাৎকারের সময় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করুন
ফোনে সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে একটা সুবিধা হলো আপনি একটা নোট রাখতে পারেন নিজের কাছে। আপনি যেমন অন্যদিকের মানুষকে দেখতে পাচ্ছেন না। তারাও আপনাকে দেখতে পায় না। এক্ষেত্রে অস্থির না হয়ে আপনি বাসায় সাধারণত যা করেন তাই করতে পারেন। যেমন, আপনার পছন্দের মগে কফি খেতে খেতে কথা বলতে পারেন। আপনার পছন্দের নোটবুক সাথে রাখতে পারেন। কিন্তু অতিরিক্ত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারের প্রথমে অপর পাশের যিনি আছেন তার নাম জেনে নিতে পারেন।

৩. আগেই বিস্তারিত জেনে নিন
আকস্মিক বা অপ্রত্যাশিত ঘটনার সম্মুখীন হলে তা মানিয়ে নিতে কষ্ট হয় অন্তর্মুখি মানুষদের। এক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারের দিন হঠাৎ করে তাদের জানানো হলে অস্থির হয়ে পড়েন। তাই তারা সাক্ষাৎকারের দিন পরিবর্তনের জন্য চাকরিদাতার কাছে অনুরোধ করতে পারে। যতদূর পারবেন চাকরিদাতা ও সংস্থা সম্পর্কে তথ্য যোগাড় করবেন।
যেদিন সাক্ষাৎকারের দিন হবে সেদিন আগে আগে ঘুম থেকে উঠবেন ও রওয়ানা দিবেন। এতে আপনার সংস্থা পর্যন্ত যেতে যে সময় নিবে তখন আপনি নিজেকে সময় দিতে পারবেন। একটু ভাবার সময়ও পাবেন।

৪. নিজেকে জাগিয়ে তুলুন দ্রুত
মোবাইল ফোন যখন এয়ারপ্লেন মোডে দিয়ে চার্জ দেওয়া হয় তখন তা দ্রুত চার্জ হয়। আপনিও আপনার শক্তি বাঁচানোর জন্য ও সতেজ হওয়ার জন্য যে সময় প্রয়োজন তা নিয়ে নেবেন। যেমন, চাকরিদাতা যদি ছোট একটা বিরতির সময় দেয় তবে তা নেবেন। সাক্ষাৎকারের শেষে আপনাকে যদি কিছু সময় দেওয়া হয় তবে সেটা কাজে লাগাবেন। যদি কোনও সুবিধাই না থাকে তবে শৌচাগার ব্যবহারের সময় কিছুটা অতিরিক্ত সময় নিবেন চিন্তা করার জন্য।
যদি চাকরিদাতা আপনাকে অনেক বেশি প্রশ্ন করে তাহলে আপনি অবশ্যই তার কাছে থেকে সময় চেয়ে নিবেন। এতে আপনার মধ্যে যে অস্থিরতা সে সময় কাজ করছে তা কিছুটা হলেও কমবে।

৫. কাজের পরিবেশ নিয়ে জিজ্ঞাসা করুন
কর্মক্ষেত্রে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার জন্য সাক্ষাৎকারের সময় জিজ্ঞাসা করুন কর্মপরিবেশ কেমন। যেমন, আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন কি ধরণের কর্মক্ষেত্র আপনাকে দেওয়া হবে? অফিসের কাজের রুটিন আপনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ? টিমের ভেতরে থেকে কিভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়? কাজের প্রতিক্রিয়া কিভাবে কর্মীদের জানানো হয়? অফিসের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানুন। এতে আপনি বুঝতে পারবেন এই কর্মক্ষেত্র আপনার জন্য উপযুক্ত কি না। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার।



মন্তব্য চালু নেই