অনন্য সাধারণ এক প্রশাসকের নাম মোস্তফা কামাল

দুয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে সাধারণত জাতির মেধাবী মানুষগুলোই ক্যাডার সার্ভিসের অধীনে কর্মকর্তা হন। এই মেধাবী মানুষগুলোর হাতে থাকে অনেক ক্ষমতা, জাতির জন্য অনেক কিছু করার সুযোগ। কিন্তু ক’জন কর্মকর্তা জাতির কল্যাণে এই মতা ব্যবহার করেন? তবে সময়ে সময়ে আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ উদ্ভাসিত হন, যারা কর্মে, মেধায় এবং মানসিকতায় সমাজকে এমনভাবে আলোকিত করেন, যা মানুষ চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। তাঁরা সমাজকে করে তোলেন আলোকিত সে সাথে নিজেরাও হয়ে উঠেন আলোকিত মানুষ। তেমনি একজন প্রশাসক রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল। তিনি সাধারণ প্রশাসনের পাশাপাশি জেলায় শিক্ষা ও শৃঙ্খলা ক্ষেত্রে অনন্য সাধারণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। জনসেবার ক্ষেত্রে এনেছেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ডিজিটাল রাঙামাটির গড়ার পথিকৃৎ হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি যুব ও তরুণ সমাজের কাছে একজন জনপ্রিয় এবং অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।

শিক্ষা ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের বিশেষ ভূমিকার জন্য রাঙামাটিবাসীর সাধুবাদ পাওয়ার পাশাপাশি তিনি সরকারিভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছেন। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৪ এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৩ এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক নির্বাচিত হয়েছেন। রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে উদ্ভাবনীমূলক ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি এ পদক লাভ করেন।

রাঙামাটিতে যোগদানের পর জেলাপ্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল প্রাথমিক শিক্ষাকে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে স্কুল ড্রেস, ব্যাগ বিতরণ, মিড ডে মিল চালু, পাবলিক কলেজ, বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল প্রতিষ্ঠাসহ শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। এ ছাড়াও ইভটিজিং বিরোধী অভিযান,ভেজাল বিরোধী অভিযান,ফুটপাত বেদখল,জেলার একমাত্র শিশু পার্ক উদ্ধার, জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, অতিথি পাখির জেলা ওয়েব পোর্টাল, জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ে ওয়াইফাই জোন এবং জেলা প্রশাসনের নিজস্ব ফেইসবুক পেজের মাধ্যমে সেবা প্রদানের মতো যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ২০১২ সালে ২৭ এপ্রিল জেলাপ্রশাসক মোঃমোস্তফা কামাল রাঙামাটিতে যোগদানের পরে পর্যটন শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষে শহরের রাস্তার দু’পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে শহরবাসীর কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠায়ও অত্যন্ত কার্যকর ও সাহসী ভূমিকা রেখে চলেছেন এই প্রশাসক।

শিক্ষার উন্নয়নে জেলাপ্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল যে সব উদ্যোগ গ্রহণ করেন, তার মধ্যে অন্যতম বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রাঙামাটি সদরের তবছড়িতে ২০১৩ সালে “বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল (ইংরেজী মাধ্যম)” প্রতিষ্ঠিত হয়। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বিয়াম ফাউন্ডেশন ঢাকা এর পাঠ্যক্রম অনুযায়ী সম্পূর্ণ আধুনিক ও যুগোপযোগী পদ্ধতিতে শিাদানের উদ্দেশে ১ জানুয়ারি ২০১৩ থেকে নার্সারি, কেজি ও স্ট্যান্ডার্ড ওয়ান শ্রেণিতে শিা কার্যক্রম শুরু করেছে। জেলা প্রশাসন প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে স্কুলটির জন্য একটি স্থায়ী ভবন নির্মাণ করছে। স্থায়ী ভবনের নিচ তলায় এর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল কার্যক্রম:

বিদ্যালয় গমনোপযোগী সকল শিশুকে বিদ্যালয়মুখীকরণ, প্রাথমিক শিক্ষার মান নিশ্চিত এবং ঝরে পড়া রোধকল্পে “মিড-ডে মিল” কার্যক্রম বর্তমান সরকারের একটি সৃজনশীল এবং অগ্রাধিকারমূলক কর্মসূচি।

এ পর্যন্ত জেলার ১০টি উপজেলার ৩৩টি বিদ্যালয়ের মধ্যে রাঙামাটি সদরে ৬, কাউখালী ৪, কাপ্তাই ৫, বিলাইছড়ি ৫, বরকল ২, লংগদু ১, নানিয়ারচর ৩, জুরাছড়ি ৪, রাজস্থলীতে ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চলছে। জেলার ৪৯টি ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “মিড-ডে মিল” কর্মসূচি চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদপে গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও রাঙামাটি শিশু সনদে দুই জন অনাথ শিশুর ব্যয়ভার বহন করছে জেলা প্রশাসন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল পোশাক বিতরণ:
জেলা প্রশাসন রাঙামাটি জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিনামূল্যে স্কুল পোশাক বিতরণ করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এ কার্যক্রম চালুর পর বিদ্যালয়ে শিার্থী উপস্থিতির হার বেড়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। পোশাকের সাথে একটি ছাতাও দেওয়া হচ্ছে। রাঙামাটি জেলার ২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি মাদ্রাসার প্রায় আড়াই হাজার শিার্থীকে বিনামূল্যে ড্রেস প্রদান করা হয়েছে।
রাঙামাটি পাবলিক কলেজ প্রতিষ্ঠা:

রাঙামাটি পাবলিক কলেজ নামে রাঙামাটি জেলা সদরের পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের আসামবস্তি নারিকেল বাগান এলাকায় একটি কলেজ স্থাপন করা হয়। গত ১১ মে কলেজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এ কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের প্রত্য উদ্যোগে ও তত্ত¡াবধানে জেলা প্রশাসক মোঃমোস্তফা কামালের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কলেজটি আত্মপ্রকাশ ঘটে। ২০১৪-২০১৫ শিাবর্ষ হতে ২৯১ শিক্ষার্থী নিয়ে রাঙামাটি সদরের তবলছড়ি এলাকার মিনিস্ট্রিয়াল কাবে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কলেজটি যাত্রা শুরু হয়।

তাঁর এসব গঠনমুলক এবং যুগান্তকারী পদপেগুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন,রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জীর্ণশীর্ণ পোশাক পরিহিত অবস্থা দেখে ঠিক করলাম এদের জন্য কিছু করা দরকার। তারপর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে পোশাক বিতরণ শুরু। বিনামূল্যে পোশাক পেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছে। বিনামূল্যে পোশাক বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, রাঙামাটি “বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলে (ইংরেজী মাধ্যম)” নার্সারি, কেজি ও স্ট্যান্ডার্ড ওয়ান শ্রেণিতে শিা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জনগণের জন্য যা কিছু ভাল তা করা হবে জানান জেলাপ্রশাসক।

এই বিদ্যোৎসাহী জেলাপ্রশাসক সম্পর্কে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে রাঙামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক হোসেন কবীর বলেন, এই কলেজটি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি একটি সাহসী উদ্যোগ, কলেজটিতে প্রথমবারের মতো ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখায় ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের সাপ্তাহিক,পাক্ষিক ও মাসিক পরীা নেওয়া হয়। রাঙামাটি পাবলিক কলেজে একজন অধ্য, ১১ প্রভাষক এবং অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রারিক রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের জন্য রাঙামাটি পাবলিক কলেজে কোনও বেতন দিতে হবে না। তিনি জানান,মেধাবী ও গরীব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে বাংলা, ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান/ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, বাণিজ্যিক ভূগোল, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, যুক্তিবিদ্যা, পৌরনীতি, অর্থনীতি, ইসলামের ইতিহাস এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে প্রভাষক নিয়োগ করা হয়। রাঙামাটি পাবলিক কলেজের লোগো তৈরি করেন ছিদ্দিকুর রহমান আজাদ। পাবলিক কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে পার্বত্য অঞ্চল শিক্ষা ক্ষেত্রে আরো এগিয়ে যাবে।

রাঙামাটি পৌরসভার প্রাক্তন প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ডাঃ এ. কে. দেওয়ান বলেন, শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। শিা ছাড়া কোনো উপায় নেই। অর্থ সঙ্কটের কারণে অনেকে রাঙামাটি বাইরে গিয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পায় না। সেই সকল ছাত্র-ছাত্রীরা রাঙামাটি পাবলিক কলেজে লেখাপড়ার সুযোগ হয়েছে। রাঙামাটির বর্তমান জেলাপ্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি শিাকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পোশাক বিতরণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল কার্যক্রমসহ শিা ক্ষেত্রে অবদান রাখায় যে সম্মাননা পেয়েছেন তার জন্য জেলাপ্রশাসককে অভিনন্দন জানান তিনি।

রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মিল্টন বড়–য়া বলেন, সৎ ও যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চাইলে সু-শিক্ষার বিকল্প নেই। বিশ্বের প্রত্যেক জাতিই এখন শিক্ষায় নিরলস কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে রাঙামাটি পাবলিক কলেজ জাতি শিায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যেটি রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি আরো বেশ ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের বিনামূল্যে পোশাকসহ শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রেখে তিনি যে সম্মাননা পেয়েছেন তাতে আমিও গর্বিত। ভবিষ্যতে শিক্ষার বিষয়ে তাঁর ভালো উদ্যোগ অবশ্যই সফলতা অর্জন করবে বলে আমি মনে করি।

পাবলিক কলেজের একাদশ শ্রেণি মানবিক বিভাগের আরেক ছাত্র মোঃ সাইদুল হক (সরোয়ার) এর মতে, কলেজের পড়ালেখা তাঁর ভাল লাগে, এছাড়াও শ্রেণিকে বসার জন্য সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। কলেজের শিক্ষকবৃন্দ খুব আন্তরিক বলে তিনি জানান।
রাঙামাটি পাবলিক কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ছাত্র অভিলাষ ত্রিপুরা জানায়, কলেজের শিক্ষকরা ভালভাবে শ্রেণি পাঠদান করান। কলেজের পরিবেশও বেশ ভাল লাগে।

জনসেবায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ:
“জনসেবার প্রশাসন” এ কথার বাস্তব রূপ দিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক। জনসাধারণের মাঝে প্রশাসনিক সেবা বিলিয়ে দিতে তিনি নিয়েছেন যুগান্তকারী পদপে।

রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল এর উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের একটি সুপরিসর কে টু এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ ক্ষমতাসম্পন্ন সবার জন্য উন্মুক্ত ওয়াইফাই জোন স্থাপন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব উপস্থিত থেকে এ সার্ভিসের উদ্বোধন করেছেন। সেখানে বিনামূল্যে সেবা গ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ। দৈনিক গড়ে ৬০-৭০ জন এ সেবা পাচ্ছেন। ফ্রি ওয়াইফাইয়ে সুবিধা গ্রহণকারীরা রাঙামাটি জেলাপ্রশাসকের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

ফেসবুকের এ পেজের মাধ্যমে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ট্রেনিং প্রোগ্রাম, কাপ্তাই হ্রদ সংক্রান্ত, রাঙামাটির পর্যটন সংক্রান্ত,পাবলিক পরীা সংক্রান্ত তথ্য, অবৈধভাবে ফুটপাত দখলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাঙামাটি শহরে রাস্তা দখল করে ট্রাক বা অন্য কোনও যানবাহন পার্কিং সম্পর্কিত, উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ, জেলা প্রশাসনের কার্যাবলী জনগণের মাঝে তুলে ধরা এবং জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করার সেবাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম এ পেইজের মাধ্যমে দেয়া হয়।

শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতে বাহন:
রাঙামাটি সদর উপজেলার বড়াদম, মগবান ইউনিয়নের কেরেটকাটা অমর স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে গমনাগমনের জন্য রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল শিক্ষাতরী প্রদান করেন। এখন তরী দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষাথী ও শিক্ষকরা নদী পারাপার হচ্ছেন।



মন্তব্য চালু নেই