অতিরিক্ত ব্যবহারেও হাতের নখকে রাখুন সুস্থ ও সুন্দর

ঈদে রান্নাঘরের কাজ স্বাভাবিকের চাইতে একটু বেশি থাকে। আর তাই হাতের ব্যবহারটাও হয় বেশি। অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে হাতের চামড়া হয়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ। তবে হাতের যে অংশটি এ সময়ে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় সেটি হচ্ছে আমাদের নখ। তাই ঈদকে সামনে রেখে চলুন দেখে আসি অতিরিক্ত ব্যবহারের পরেও হাতের নখকে সুস্থ ও সুন্দর রাখার কৌশলগুলো।

১. বারবার পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকুন

ঈদে নানারকম কাজে হাত ব্যবহার করার ফলে সেটা পরিষ্কারের দরকারটাও আমাদের বারবারই পড়ে। কিন্তু একটু ভেবে দেখুন তো, আপনি কি প্রয়োজনের চাইতে বেশি হাত পরিষ্কার করছেন? হাত ও হাতের নখ পরিষ্কার রাখা দরকারী হলেও অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো ফলাফল নিয়ে আসেনা। তাই খেয়াল রাখুন এই বিষয়টির দিকে। যদি আপনাকে একটানা ঘন্টাখানিক কাজ করতে হয় হাত দিয়ে তাহলে সেই সময়ে ভেতরে বারবার হাত পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ অতিরিক্ত এই পরিষ্কার করার বিষয়টি আপনার নখকে করে তুলতে পারে নাজুক ও ভঙ্গুর।

২. নখ ছোট রাখুন

নখ বড় রাখতে পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহার করতে হলে নখকে একটু ছোট রাখাটাই শ্রেয়। এক্ষেত্রে বড় নখের ঝামেলা থেকে তো আপনি রেহাই পাবেনই, সেইসাথে সেরে ফেলতে পারবেন সব ধরণের কাজ। অন্যথায়, ঈদের ঘরোয়া নানারকম কাজে বড় নখ ব্যবহার করলে কেবল নখের বাড়তি অংশটুকুকেই নয়, সেটা দূর্বল করে তুলতে পারে আপনার পুরো নখটিকেই।

৩. ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন

অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আপনার নখ হয়ে যেতে পারে শুষ্ক। তাই কাজের দিনগুলোতে সকালে ও রাতে নিয়ম করে নখে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এছাড়াও প্রয়োজনমতন ব্যবহার করুন ময়েশ্চারাইজার। তবে খেয়াল রাখুন নখ যেন খুব বেশি পানিতে ভিজে না থাকে। কারণ, অতিরিক্ত শুষ্কতার মতন অতিরিক্ত ভিজে ভাবও আপনার নখের জন্যে ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।

৪. হাতকে নিরাপদ রাখুন

ঘরোয়া কাজের সময় অবশ্যই হাতে গ্লাভস পরিধান করুন। রাবার বা প্লাস্টিকের গ্লোভসকে প্রাধান্য দিন এক্ষেত্রে। বাগান পরিষ্কার, ঘর পরিষ্কার থেকে শুরু করে রান্না-বান্না কিংবা কাটাকুটি- সবখানে খেয়াল রাখুন যেন গ্লাভস ব্যবহার করা হয়।

৫. কিউটিকলস কাটা থেকে বিরত থাকুন

যেকোন অবস্থাতেই নখের কিউটিকলসে হাত দেবেন না। বিশেষ করে হাতের যত্নের সময়েও কিউটিকলস কাটা বা কমিয়ে না ফেলাটাই ভালো। কারণ, এটি নখের স্বাস্থ্যের জন্যে উপকারী। নখে কোনরকম সংক্রমণ যাতে না হয় সেটা দেখে থাকে কিউটিকলস। তাই চেষ্টা করুন কিউটিকলসে কোনরকম হাত না লাগাতে। কারণ এতে করে আপনার, বিশেষ করে ঈদের নানারকম কাজের ভেতরে, সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।



মন্তব্য চালু নেই