অতিরিক্ত চিনিকে ’না’ বলুন
প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে আমরা চিনি খাই। বিশেষ করে বাড়ির বাচ্চাদের চিনির প্রতি রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ। তবে মুখরোচক এ উপাদান অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে তা আমাদের জন্যে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। নিজেকে এবং পরিবারের সবাইকে সুস্থ রাখতে চিনি খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
বাচ্চারা কেন চিনি পছন্দ করে?
চিনি একধরনের আসক্তি তৈরি করে যা একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করে। এই অভ্যাস সহজে ছাড়া কষ্টকর। বিখ্যাত চিকিৎসক জুলিয়া রস তার ‘মুড কিউর’ বইতে লিখেছেন, ১১০০ সালের দিকে ইউরোপে চিনি ড্রাগ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। আর এ কারণে ফ্রান্সে চিনিকে বলা হতো ‘ক্র্যাক’। চিনি স্থুলতা, হতাশা, মাথাব্যথা, দাঁতের ক্ষয় ছাড়াও অনেক সমস্যা তৈরি করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চিনি আমাদের স্বাদ গ্রহণের অনুভূতিকে দুর্বল করে ফেলে। যার ফলে আমরা প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি খাবারের স্বাদ পাইনা এবং আরও বেশি চিনি খাই।
বেশি চিনি খেলে কী হয়?
যখন আমরা চিনি খাই, তখন চিনি সরাসরি আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। এতে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। চিনিকে প্রক্রিয়াজাত করতে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামক হরমোন বের হয়। অতিরিক্ত চিনি খেলে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ ঠিক রাখতে অতিরিক্ত মাত্রায় ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। একসময় রক্তচাপ কমে যায় এবং মস্তিস্কে সমস্যা হয়। মাত্রাতিরিক্ত চিনি খেলে কোনো বিষয়ে মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। এছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হার্টের অসুখ, ক্যানসার, অ্যাজমার মতো কঠিন রোগও হতে পারে।
কী পরিমাণ চিনি খাওয়া যাবে?
মাঝে মাঝে চিনি বা চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে। আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন এর মতে বাচ্চাদের দিনে ৩ চা চামচের বেশি চিনি খেতে দেয়া উচিৎ নয়। তাই সুস্থ থাকতে অতিরিক্ত চিনি পরিহার করা উত্তম।
মন্তব্য চালু নেই