ফাঁসির আসামির পাশে, মন্তব্যে ভারতজুড়ে তোলপাড়

অতঃপর ক্ষমা চাইলেন সালমান

মুম্বাইয়ে সিরিজ বোমা হামলার অপরাধে সন্দেহভাজন মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইয়াকুব মেমনের পক্ষে অবস্থান নেয়ার পর পুরো জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন বলিউড সুপারস্টার অভিনেতা সালমান খান। এবং ইয়াকুবের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যে টুইটগুলো করেছিলেন, সেগুলোও বাবা সেলিম খানের কথায় সরিয়ে নেন তিনি।

জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বাইয়ে সিরিজ বোমা হামলার অপরাধে সন্দেহ ভাজন আসামি ইয়াকুব মেমনের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে মুম্বাই আদালত। প্রকৃত সন্দেহ ভাজনের তালিকায় ইয়াকুবের ভাই টাইগারের নাম থাকলেও ইয়াকুবকেই মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। আদালতের দেয়া এমন রায়ের প্রেক্ষিতে ইয়াকুব মামলার পুনর্বিবেচনা দাবী করে উচ্চ আদালতে আপিল করেন, কিন্তু ইয়াকুবের এমন আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে মৃত্যুভিক্ষাও প্রার্থনা করেন ইয়াকুব।কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাও প্রত্যাখ্যান করেন।

এমন পরিস্থিতিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে মুখ খুললেন অভিনেতা সালমান খান। তিনি এ বিষয়ে গত ২৫ জুলাই থেকে একাধিক টুইট করেন। ইয়াকুবের পক্ষে দাঁড়ানোয় সালমান খানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে উঠে প্রতিবাদের ঝড়। এমনকি ফেসবুক ও টুইটারে হ্যাশট্যাগ দিয়ে সালমানকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দেয়া হয়। ২৬ জুলাই সকাল থেকেই সালমানের বান্দ্রার বাসাকে ঘিরে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজপথে চলতে থাকে সালমানের বিরুদ্ধে মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোও সালমানের করা মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। বিজেপিসহ, কংগ্রেস ও কট্টর হিন্দুবাদী দলগুলোও সালমানের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন। তারা সালমানের এমন আচরণকে ধৃষ্ঠতা বলেও আখ্যা দেন।

micilএমতাবস্থায় সালমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন তার বাবা সেলিম খান। অতঃপর বাবার কথায় পূর্বের অবস্থান থেকে সরে আসেন সালমান। এমনকি ইয়াকুবের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে যে টুইটগুলো তিনি করেছিলেন সেগুলোও সরিয়ে নেন। সালমান তার ভক্ত, অনুসারি এবং পুরো জাতির কাছে ‘ইয়াকুব’ প্রসঙ্গে করা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এবং বলেন, সামান্য ভুল বোঝাবুঝির জন্যই এরকম একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সালমান খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, আমি কখনোই ইয়াকুবকে নির্দোষ বলেনি। আমি বলেছি যে টাইগারের পরিবর্তে তার ভাই ইয়াকুবকে কেনো মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। তার অপরাধের জন্য প্রাপ্য শাস্তিই তাকে দেয়া উচিত।

এমনকি নিজের করা মন্তব্যকে অনেকে ধর্ম বিরোধী বলে চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন সালমান। তিনি টুইটে বলেন, আমার মন্তব্যকে যারা ধর্মীয় উস্কানির হাতিয়াররূপে ব্যবহার করেছেন তাদের প্রতি সমবেদনা। কারণ আমি সর্বদাই বলি যে, সব ধর্মের প্রতিই আমার শ্রদ্ধা ও পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

এর আগে ইয়াকুবকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ায় সালমান আদালাতের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে টুইটে লিখেছিলেন, টাইগারের পরিবর্তে কেন তার ভাইকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হল। এটা কোন ধরণের বিচার। একজনের অপরাধে অন্যজন কেন সাজা ভোগ করবে, এমন প্রশ্নও ছুড়ে দেন সালমান। সালমান তার টুইটারে লিখেছিলেন, টাইগারকে ধরে শাস্তি দাও, ইয়াকুবকে নয়। অন্য একটি টুইটে সালমান বলেন, একজন নিরীহ মানুষকে মেরে ফেলা মানে মানবতাকেই কুলুষিত করা।

সালমানের মন্তব্যে ভারতজুড়ে তোলপাড়

salmanমুম্বাইয়ে সিরিজ বোমা হামলার অপরাধে সন্দেহভাজন ইয়াকুব মেমন নামের একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে মুম্বাই আদালত। আর সেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বলিউড সুপারস্টার অভিনেতা সালমান খানের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রাস্তায় রাস্তায় সালমানের বিরুদ্ধে মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বাইয়ে সিরিজ বোমা হামলায় অন্তত ২৫৭ জন মানুষ নিহত এবং ৭০০ মানুষ গুরতর আহত হন। আর সেই ভয়ঙ্কর হামলার সন্দেহ ভাজন প্রধান আসামি ছিলেন টাইগার মেনন। যাকে ভারতীয় আদালত ধরতে না পেরে তার ভাই ইয়াকুব মেননকে ধরে হাজতে পুরে মুম্বাই আদালত। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই দীর্ঘদিন ধরে চলা মুম্বাই হামলার ঘটনাটির মামলা চূড়ান্ত রায় হয়। আর সেই মামলায় টাইগার মেমনের ভাই ইয়াকুব মেমনকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেয় মুম্বাই আদালত।

আদালতের দেয়া এমন রায়ের প্রেক্ষিতে ইয়াকুব মামলার পুনর্বিবেচনা দাবী করে উচ্চ আদালতে আপিল করেন, কিন্তু ইয়াকুবের এমন আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে মৃত্যুভিক্ষাও প্রার্থনা করেন ইয়াকুব।কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাও প্রত্যাখ্যান করেন।

এমন পরিস্থিতিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে মুখ খুললেন অভিনেতা সালমান খান। তিনি এ বিষয়ে গত ২৫ জুলাই থেকে একাধিক টুইট করেন। তিনি জানান, গত তিন দিন ধরেই ইয়াকুবের বিষয়টি তাকে ভাবিত করেছে। শেষপর্যন্ত ভয়ে ভয়েই মুখ খুলেছেন তিনি।

সালমান আদালাতের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন, টাইগারের পরিবর্তে কেন তার ভাইকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হল। এটা কোন ধরণের বিচার। একজনের অপরাধে অন্যজন কেন সাজা ভোগ করবে, এমন প্রশ্নও ছুড়ে দেন সালমান। সালমান তার টুইটারে লিখেন, টাইগারকে ধরে শাস্তি দাও, ইয়াকুবকে নয়। অন্য একটি টুইটে সালমান বলেন, একজন নিরীহ মানুষকে মেরে ফেলা মানে মানবতাকেই কুলুষিত করা।

সালমানের এমন টুইটারে উত্তাল পুরো ভারত। শিব সেনা এবং কট্টর হিন্দুবাদী নেতারা চটেছেন সালমানের এমন মন্তব্যে।রাস্তায় রাস্তায় সালমানের নামে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হচ্ছে। সালমানের বিরুদ্ধে ধর্মীয় উস্কানিমূলক বার্তাও ছড়ানো হচ্ছে। বিজেপি নেতা শত্রূঘ্ন সিনহা সালমানের করা এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তার বাবা সেলিম খানের উদ্দেশে বলেন, যদি সালমান এমনটা বলেই থাকে, তাহলে তার আবেগকে দমন করতে বলো।

অন্যদিকে আভা সিং নামের এক আইনজীবী সালমান খানের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, সালমান নিজেই একজন দাগি আসামি। তার অপরাধের জন্য ৫ বছরের জেলবাসের শাস্তি দিয়েছিল আদালত। অথচ সেই ইয়াকুব মেমনকে একজন নিরীহ মানুষ বলে দাবী করছে। তার মুখে এটা মানায় না। সে কি আমাদের দেশের আইনব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে না? এমনকি টুইটারে দেয়া সালমানের এমন মন্তব্যকে রাষ্ট্রবিরোধী বলেও উল্লেখ করেন ওই আইনজীবী।

ফাঁসির আসামির পাশে নির্ভীক সালমান

salmanমুম্বাইয়ে সিরিজ বোমা হামলার অপরাধে সন্দেহভাজন ইয়াকুব মেমন নামের একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে মুম্বাই আদালত। আর সেই ফাঁসির আসামির পক্ষে অবস্থান নিলেন বলিউডের সুপারস্টার অভিনেতা সালমান খান।

জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বাইয়ে সিরিজ বোমা হামলায় অন্তত ২৫৭ জন মানুষ নিহত এবং ৭০০ মানুষ গুরতর আহত হন। আর সেই ভয়ঙ্কর হামলার সন্দেহ ভাজন প্রধান আসামি ছিলেন টাইগার মেমন। যাকে ভারতীয় আদালত ধরতে না পেরে তার ভাই ইয়াকুব মেমনকে ধরে হাজতে পুরে মুম্বাই আদালত। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই দীর্ঘদিন ধরে চলা মুম্বাই হামলার ঘটনাটির মামলার রায় চূড়ান্ত হয়। আর সেই মামলায় টাইগার মেমনের ভাই ইয়াকুব মেমনকেই দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেয় মুম্বাই আদালত।

আদালতের দেয়া এমন রায়ের প্রেক্ষিতে ইয়াকুব মামলার পুনর্বিবেচনা দাবী করে উচ্চ আদালতে আপিল করেন, কিন্তু ইয়াকুবের এমন আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে মৃত্যুভিক্ষাও প্রার্থনা করেন ইয়াকুব। কিন্তু রাষ্ট্রপতিও তা প্রত্যাখ্যান করেন।

এমন পরিস্থিতিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে মুখ খুললেন অভিনেতা সালমান খান। তিনি এ বিষয়ে গত ২৫ জুলাই থেকে একাধিক টুইট করেন। তিনি জানান, গত তিন দিন ধরেই ইয়াকুবের বিষয়টি তাকে ভাবিত করেছে। শেষপর্যন্ত ভয়ে ভয়েই মুখ খুলেছেন তিনি।

সালমান আদালাতের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন, টাইগারের পরিবর্তে কেন তার ভাইকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হল। এটা কোন ধরণের বিচার। একজনের অপরাধে অন্যজন কেন সাজা ভোগ করবে, এমন প্রশ্নও ছুড়ে দেন সালমান। সালমান তার টুইটারে লিখেন, টাইগারকে ধরে শাস্তি দাও, ইয়াকুবকে নয়। অন্য একটি টুইটে সালমান বলেন, একজন নিরীহ মানুষকে মেরে ফেলা মানে মানবতাকেই কুলুষিত করা।

অন্যদিকে সালমানের এমন টুইটারে উত্তাল পুরো ভারত। ধারণা করা হচ্ছে, শিব সেনা এবং কট্টর হিন্দুবাদী নেতারা সালমানের এমন মন্তব্যে চড়াও হতে পারেন। অবস্থা এমন পর্যায়ে যে, ২৬ জুলাই সকাল থেকেই সালমান খানের বাড়ির আশেপাশে কঠিন নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম।

উল্লখ্য, মুম্বাই সিরিজ বোমা হামলার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইয়াকুব মেমনকে চলতি মাসের ৩০ তারিখে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে রায় দিয়েছে আদালত। আর ওই দিনই মানে ৩০ জুলাই ইয়াকুবের জন্মদিনও।

 



মন্তব্য চালু নেই