অটোরিকশার ৮৬ ভাগ চলে চুক্তিতে

রাজধানীতে চলাচলকারী অটোরিকশার ৮৬ ভাগ চুক্তিতে চলাচল করছে। যারা মিটারে চলে তাদের ৯৭ ভাগ ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া (বকশিশ) দাবি করে।

এছাড়াও যাত্রী পছন্দের গন্তব্যে যেতে রাজি হয় না ৮২ শতাংশ অটোরিকশা। যাত্রীর ইচ্ছায় চুক্তিতে চলে ২২ শতাংশ অটোরিকশা।

বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

তিনি দাবি করেন, মাসব্যাপী বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রায় ২ হাজার ১৬৬টি অটোরিকশার ওপর এক জরিপ পরিচালনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, একলাফে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া ৬০ ভাগ বৃদ্ধির এক বছর পরও এই সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়নি।

এই অটোরিকশায় যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে মতিঝিল থেকে গুলিস্তান ১০০ টাকা, সদরঘাট থেকে ধানমন্ডি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কমলাপুর থেকে ফার্মগেট ২০০ টাকা, প্রেসক্লাব থেকে মিরপুর-১২ পর্যন্ত ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, প্রেসক্লাব থেকে বসুন্ধরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শাহবাগ থেকে কলাবাগান ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, সদরঘাট থেকে বাড্ডা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, মহাখালী থেকে যাত্রাবাড়ী ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, গুলিস্তান থেকে এয়ারপোর্ট ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাড্ডা থেকে ধানমন্ডি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, মোহাম্মদপুর থেকে মতিঝিল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, রামপুরা থেকে গুলিস্তান ২৫০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা, সদরঘাট থেকে গাবতলী ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, সদরঘাট থেকে মিরপুর ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, সদরঘাট থেকে পল্লবী ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা ভাড়ায় চুক্তিতে অটোরিকশা চলাচল করছে।

অথচ এসব পথে মিটারে যাতায়াত করলে কোনো কোনো গন্তব্যে এসব চুক্তিকৃত ভাড়ার ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়ায় যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারত।

এ সময় প্রাক্তন সংসদ সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির হিরু, বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনিস্টিটিউটের প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুব আলম তালুকদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই