অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে জবি শিক্ষক : এক লাখ টাকা খোয়া

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে এক লাখ টাকা ও মোবাইল খুইয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর মো: হাফিজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার বিকেলে গাবতলী বাস কাউন্টারে এ ঘটনা ঘটে। তার ভাষ্যমতে, বাস শ্রমিক ও ক্যানভাসারদের যোগসাজোগে একটি চক্র এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। তবে ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পার হলেও কোন কুল কিনারা পায়নি পুলিশ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আবদুল্লাহপুর থেকে গাবতলী রোডে হরহামেশাই ঘটছে এসব ঘটনা।

মো: হাফিজুল ইসলাম শনিবার আওয়ার নিউজ বিডিকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাইম ব্যাংকের জসিম উদ্দীন রোড শাখা থেকে এক লাখ টাকা তুলে মিরপুর-১০ এর উদ্দেশ্যে নিউ পল্লবি পরিবহনের গাবতলীগামী একটি গাড়িতে ওঠেন। তার সঙ্গে ২০/২২ বছরের দুই যুবক গাড়িতে ওঠে। ১০ মিনিট বাস চলার পর একজন ক্যানভাসার বই, মলম ও হালুয়া বিক্রি করতে আসে। এক পর্যায়ে জোর করে তার হাতে হালুয়া ধরিয়ে দেয়। হালুয়া খাওয়ার পর আর কিছু মনে নেই ওই শিক্ষকের। বিশ ঘন্টার বেশী সময় পর জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ইবনেসিনা হাসপাতালে দেখতে পান তিনি। তার ধারনা ক্যানভাসার ও বাস শ্রমিকদের যোগসাজোগেই তিনি সর্বস্ব খুইয়েছেন। শনিবার বিকেলে তনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি বলে জানান।

এ ঘটনায় দারুস সালাম থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। জিডি নম্বর ১১৭০/ ২৩, জানুয়ারি ২০১৫। কিন্তু অভিযোগ করার ৪৮ ঘন্টা পার হলেও অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের আটক করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। এ ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার এসআই রায়হানুজ্জামান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এখোনো কোন ক্লু পাইনি। যে মোবাইল থেকে ফোন দেয়া হয়েছিল। সেই নাম্বারটি আইডেন্টিফাই(খোঁজ) করার চেষ্টা করছি।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের বড়ভাই মোবারক হোসেন শাহীন আওয়ার নিউজ বিডিকে বলেন, গাবতলী থেকে খালিদ নামের একজন বাস শ্রমিক আমাকে ফোন দিয়ে জানায়। পরে তাকে ইবনেসিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২২ ঘন্টা পরে তার জ্ঞান ফেরে।

ভুক্তভোগী শিক্ষক সেজে খালেদকে ফোন করলে সে বলে, সে নিউ পল্লবি পরিবহনের শ্যওড়াপাড়া কাউন্টারে চাকরি করে। গাবতলী কাউন্টারের সামনে অচেতন অবস্থায় পেয়ে মানিব্যগ থেকে একটি নাম্বার নিয়ে ফোন দিয়ে জানায়। পরে সে বাসায় চলে যায়। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আবার ফোন দিলে সে বলে, সে বাংলা কলেজের ইন্টারমিডিয়েটের বাণিজ্য শাখার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গাবতলী আকাশ গোল্ডেন প্লাস কোসিংয়ে পড়ে। তার ছোটভাই গাবতলী কাউন্টারে চাকরী করে। সে গাবতলী কাউন্টারে যেয়ে লোকটিকে পায়। পরে তার আত্মীয়দের ফোন দেয়। সে শ্যাওড়া পাড়া কাউন্টারে চাকরী করে কিনা তা জানতে চাইলে সে অস্বিকার করে। কোন গাড়ীর শ্রমিকরা তাকে জানায়, তা বলেনি খালেদ।



মন্তব্য চালু নেই