অগ্নিদগ্ধরা প্রত্যেকে ১০ লাখ টাকা পাবেন

২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধে যারা পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন বা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন, তাদের প্রত্যেককে সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) দ্বিন মো. নুরুল হক।

তিনি জানান, এই ১০ লাখ টাকা প্রত্যেক জীবিত রোগীর নামে ও মৃত রোগীর নিকটাত্মীয়ের নামে একটা নির্দিষ্ট বছরের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট করে দেওয়া হবে। রোগী কিংবা তার স্বজনরা ওই ১০ লাখ টাকার মাসিক সুদ যে পরিমাণ টাকা হয়, তা ব্যাংক থেকে তুলতে পারবেন।

খুব শিগগিরই একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী অগ্নিদগ্ধ রোগী কিংবা তাদের আত্মীয়দের কাছে ১০ লাখ টাকার এই চেক তুলে দেবেন বলে জানান দ্বিন মো. নুরুল হক।

তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ ২৫ জন রোগীকে সরকারের পক্ষ থেকে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ সব রোগীকে বিনামূলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে তাদের জন্য ভিজিএফ কার্ড দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) জানান, এ পর্যন্ত পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১২৫ জন রোগী ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে নয়জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন আছেন ৫৪ জন। বাকিরা চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে গেছেন। তবে মাঝে মাঝে ড্রেসিং করাতে আসেন।

এদিকে, হরতাল-অবরোধে পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের দেখতে মঙ্গলবার ঢামেক হাসপাতাল আসেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। তারা বার্ন ইউনিট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলেই চলে যান।

ইইউ’র প্রতিনিধিদের বার্ন ইউনিট পরিদর্শন সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি বলেন, ‘পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে ইইউর প্রতিনিধিরা হাসপাতালে এসেছিলেন। তারা চিকিৎসকদের কাছে জানতে চান, রোগীদের চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা। প্রয়োজনে তারা চিকিৎসার উপকরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।’



মন্তব্য চালু নেই