অকালে মৃত্যু না চাইলে মেনে চলুন ৭ নিয়ম

দীর্ঘ জীবন চাইলে কয়েকটি ক্ষতিকর অভ্যাস বর্জন করতে হবে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু ক্ষতিকর অভ্যাসের কথা।

১. প্রক্রিয়াজাত খাবার নয়
শিল্প-কারখানায় যেসব খাবার প্রক্রিয়াজাত করা হয়, সেগুলোতে অতিরিক্ত সোডিয়াম, চিনি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও নানা ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়। ফলে খাবারগুলো আদতে ক্ষতির কারণ হয়। এ খাবারগুলো খাওয়ার কারণে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ হৃদরোগ, হাইপারটেনশন, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। এ ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে হলে তাজা ও স্থানীয়ভাবে পাওয়া খাবার কিংবা বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়া উচিত।

২. ধূমপান বাদ দিন
ধূমপান যাঁরা শুরু করেন তাঁরা নেশার কারণে এটি সহজে ত্যাগ করতে পারেন না। এটি মানুষের আয়ু ১০ বছর পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। এটি অকালে মৃত্যুর অন্যতম কারণ।

৩. দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা নয়
কর্মক্ষেত্রে কিংবা পড়াশোনাসহ নানা কাজে অনেকেরই দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার অভ্যাস রয়েছে। সুস্থ থাকার জন্য সর্বদা শরীর সচল রাখা উচিত। যদিও বসে থাকার এ অভ্যাস মানুষের শারীরিক কর্মকাণ্ড কমিয়ে দেয়। ফলে শরীর অনেকাংশে কর্মহীন হয়ে পড়ে এবং নানা ধরনের অসুখে আক্রান্ত হয় মানুষ। তাই সুস্থ থাকার জন্য সারাক্ষণ চেয়ারে বসে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করার কথা বলছেন গবেষকরা।

৪. রাগ ও হিংসা-বিদ্বেষ ত্যাগ
হিংসা-বিদ্বেষ কিংবা রাগের ফলে মানুষের আবেগগত নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হয়। আর এ সমস্যায় মানুষের হৃপিণ্ড যেমন অসুস্থ হয়ে পড়ে তেমন রক্তচাপ বাড়ে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে।

৫. সামাজিকতা
সামাজিকতা মানুষের আয়ু বাড়ায়। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে মজবুত বন্ধন তৈরি করে সামাজিকতা। আর এতে মানসিক চাপের মাত্রা কমে যায় এবং বিষণ্নতা ও হৃদরোগের আশঙ্কাও কমে। ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব হয়।

৬. সঠিক ঘুম
সঠিক মাত্রায় ঘুম সুস্থ দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেউ যদি প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা না ঘুমায় তাহলে এটি নানাভাবে স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়। এতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর শঙ্কাও বেড়ে যায়।

৭. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
মানসিক চাপের কারণে নানা ধরনের রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর এসব রোগের কারণে মৃত্যুর হারও অনেক। যারা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাদের অকালে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। -ওয়েবসাইট।



মন্তব্য চালু নেই