‘অকারণে’ ক্লান্তির ৪ কারণ জেনে রাখুন

১. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন’ পরামর্শ দেয়, ২৬-৬৪ বছর বয়সীদের রাতে সাত থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম দরকার। ১৮-২৫ বছর বয়সীদেরও একই সময় ধরে ঘুমানো উচিত। গভীর ঘুমের সময় দেহে অনেক কিছু ঘটে যায়। এ সময় নিঃসৃত হয় সেকরেটিন নামের এক হরমোন, যা পেশিকে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। এই হরমোন দেহে উপকারী কোলেস্টেরল ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রাখে। দেহে যথেষ্ট পরিমাণ সেকরেটিন না থাকলে অবসাদ ভর করে। শক্তি ও দম কমিয়ে দেয়। এর অভাবে দেখা দিতে পারে ক্লান্তি।

২. বেশি বেশি জাংক ফুড
তাত্ক্ষণিকভাবে আপনাকে চনমনে করতে পারে চিনি। কিন্তু কিছুক্ষণ বাদে এ অবস্থা কেটে যায়। চিনি, গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ, মল্টোজ ও সুক্রোজের মতো উপাদান একটা সময় পর ক্লান্তি আনে। বিছানায় গা এলিয়ে দিতে মন চাইবে। দেহে বিন্দুমাত্র শক্তি পাবেন না। জাংক ফুড ও বেভারেজে রয়েছে প্রচুর চিনি। এসব খাবার বেশি খেলে আলস্য তো আসবেই।

৩. ডিহাইড্রেশন
প্রতিদিন যথেষ্ট পানি খাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অবসাদ দূর করতে এটা বেশ কার্যকর উপায়। অনেকেই জানেন না যে দেহে পানির অভাবে প্রাণচাঞ্চল্য চলে যায়। মূত্রের রং দেখেই বুঝতে পারবেন পানির অভাব রয়েছে কি না। হালকা হলুদ কিংবা পরিষ্কার রঙের হলে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। আর অন্য কোনো রং হলেই পানি খাওয়া শুরু করুন।

৪. হরমোনের অবস্থা
দেহের শক্তিমত্তা বজায় রাখতে কয়েক ধরনের হরমোন ভূমিকা রাখে। এর মধ্যে ধীরলয়ে কাজ করা থাইরয়েড ও অ্যাড্রিনাল হরমোন গ্রন্থি প্রাথমিক ধাক্কাটা দেবে। আপনার হরমোনের গ্রন্থি ঠিকমতো কাজ করছে কি না বুঝবেন কিভাবে? অ্যাড্রিনাল হরমোনের কার্যক্রম বুঝতে একটি পরীক্ষা করে ফেলুন। খেয়াল করুন, যখন আপনার ক্ষুধা লাগে, তখন কি অস্থির হয়ে পড়েন? মানে আপনার অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির বারোটা বেজে গেছে। এ অবস্থায় সারা দিন ক্লান্তি লেগেই থাকবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

–ইন্টারনেট অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার



মন্তব্য চালু নেই