জোরপূর্বক হিজড়া বানানো হচ্ছে ছেলেদের!
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বা হিজড়দের স্বভাব সুলভ অঙ্গিভঙ্গি আমাদের কাছে খুব একটা অপরিচিত নয়, কারণ এরা আমাদের সমাজেরই একটা অংশ। এরা সাধারণত নেচে গেয়ে অর্থ উপার্জন করে। তবে ইদানিং স্বাভাবিক হিজড়াদের মধ্যে কিছু অস্বাভাবিক আচরণের হিজড়াদের আগমণ ঘটেছে। এই সব অস্বাভাবিক হিজড়ারা যদিও প্রাকৃতিক ভাবে পুরুষ, কিন্তু পুরুষ হওয়ার পরও তারা হিজড়ার চরিত্রে অভিনয় করছে। যেসব ছেলেদের মধ্যে একটু মেয়েলিপনা দেখা যায়, তাদের পুরুষাঙ্গ জোর করে কেটে হিজড়া বানানো হচ্ছে। ছেলেদের পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানিয়ে এদের দ্বারা নানান অপরাধমূলক কাজ করিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র।
রাজধানীতে ভিন্ন ধরনের ছেলেধরার সন্ধান মিলেছে। যেসব ছেলেদের মধ্যে একটু মেয়েলিপনা আছে, তাদেরকে ধরে পরুষাঙ্গ কেটে জোর করে হিজড়া বানানোর অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। হিজড়া বানিয়ে তাদেরকে দিয়ে চক্রটি ভিাবৃত্তি ও বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম করাচ্ছে। তাদের উপার্জনের টাকা দিয়ে কারো কারো আয়েশি জীবনযাপন করলেও সাধারণ হিজড়াদের দিন কাটে অভাব অনটনে।
ইদানিং এসব হিজড়াদের মাঝেই অস্বাভাবিক কিছু হিজড়ার দেখা মিলবে, যারা ছেলে হয়েও হিজড়ার অভিনয় করছে। এদের মোটামুটি সবাই ছেলে। পুরো রাজধানী জুড়েই এরকম হাজার খানেক ছেলেকে হিজড়া বানিয়ে ব্যবসায় নামিয়েছে একটা চক্র। ভুক্তভোগী সুমন বললেন, ‘আমার নাম ছিল সুমন। এখন নাম হচ্ছে ঝুমা। আমি একসময় ছেলে ছিলাম। এখন আমাকে জোর করে হিজড়া বানানো হয়েছে’। এই চক্রের অন্যতম খায়রুল ইসলাম ওরফে স্বপ্না হিজড়া। যিনি নিজেও ছিলেন ছেলে। অথচ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন হিজড়া সেজে। আরেক ভুক্তভোগী বললেন, তার গুরু (খায়রুল ওরফে স্বপ্না) ছেলে মানুষ। ওনার বউ আছে। দুটি জমজ বাচ্চা আছে বলেও জানায় তারা। বিভিন্ন জায়গায় তার বাড়ি ও প্লট আছে বলে জানা যায়। কিন্তু হিজড়া সেজে তার এ বিশাল সাম্রাজ্য যারা গড়ে দিয়েছে তারাও সবাই ছেলে। অন্য আরেক হিজড়া বললেন, ‘এলাকার জায়গা অর্ধেকটা কিনে ফেলেছেন। আর আমরা গরিব মানুষ , না খেয়ে মরতেছি’। যে ছেলেদের মধ্যে একটু মেয়েলিপনা আছে, তাদেরকে জোর করে হিজড়া বানানোই স্বপ্নার কাজ।
এরকমই একজন রোমানা। একসময় স্ত্রী সন্তাান সবই ছিল। কিন্তু স্বপ্না তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে হিজড়া বানানোর ফাঁদ এঁটেছে। কথামত রোমানা তার পুরুষাঙ্গ কাটার জন্য ঢাকা থেকে নওগাঁ যাবে। একুশে টিভির টিম তার সাথে রওনা হয়। নওগাঁ বাসস্ট্যান্ডে স্বপ্নার ভাড়া করা দালাল শরিফ রোমানাদের সোজা নিয়ে যায় হাসপাতালে। একুশের টিম তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ডাক্তার খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। এসিস্ট্যান্ট স্বীকার করেন যে, ২ হাজার টাকার বিনিময়ে সে এ কাজ করে থাকে। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলে তারা নাকের ডগায় এমন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে জানতে পেরে হতভম্ব হয়ে পড়েন। সূত্র: একুশে টিভি
https://youtu.be/7iEUpc_eEGA

















মন্তব্য চালু নেই