৫ জানুয়ারিকে জাতীয় ক্ষমা দিবস ঘোষণার দাবি

৭ নভেম্বরকে জাতীয় দিবস এবং ৫ জানুয়ারিকে ক্ষমা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় ৭ নভেম্বরের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আজ বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী দিনের পর দিন কোর্টে হাজিরা দিচ্ছেন। কোর্টে এসি লাগান, সময় আসছে, এই কোর্টেই আপনাদের স্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।’

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘৭ নভেম্বরের চেতনাকে যারা বিশ্বাস করে না তারা গণতন্ত্রের শত্রু এবং দেশদ্রোহী। ১৯৭১ সালে গণতন্ত্রে উত্তরণের চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল কিন্তু ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে তা বিনষ্ট হয়। এরপর ৭ নভেম্বর নতুন করে সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।’

তিনি বলেন, ‘এখন রাষ্ট্রে একটি দখলদার সরকার বিরাজ করছে। রাষ্ট্র আছে কিন্তু গণতন্ত্র আছে কি-না তা বলতে পারছি না।’

তিনি আরো বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্যু-করে ক্ষমতায় আসেননি। বরং খন্দকার মোশতাক এই পন্থায় ক্ষমতায় এসেছিলেন যা আওয়ামী লীগেরই একটি অংশ। ৭ নভেম্বরের মতো একটি মহান দিবসকে যারা পালন করতে দিচ্ছে না তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় এবং তাদের হাতে কখনোই গণতন্ত্র নিরাপদে ছিল না এবং থাকবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একটি বিধ্বস্ত দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি একটি বাহিনীতে থেকেও সমাজের উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশ ছিল একটি তলা বিহীন ঝুঁড়ি। সেটাকে আস্তে আস্তে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং ঝুঁড়ির একটা একটা ছিদ্র বন্ধ করে দিয়েছিলেন। মাত্র ২ বছরের মধ্যে তিনি এই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে চাল রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।’

সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল কবীর খোকন।



মন্তব্য চালু নেই