হ্যাপির ফরেনসিক রিপোর্টে কীসের আলামত!

নায়িকা হ্যাপির দায়ের করা মামলায় রুবেল হোসেন ফেঁসে যেতে পারেন! কারণ, সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে হ্যাপির সঙ্গে কারো শারীরিক সম্পর্কের আলামত মিলেছে।

এটা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র। হ্যাপির মামলা দায়ের এবং ফরেনসিক পরীক্ষার পর কয়েকদিন ধরেই জনমনে প্রশ্ন দেখা দেয়-কি আছে ফরেনসিক রিপোর্টে? অথবা কি আলামত মিলবে সেই রিপোর্টে?

বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাবীবুজ্জামান জানান, ‘ফরেনসিক প্রতিবেদন আজই মিরপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনে হ্যাপি একজনের সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করেছেন- এমন তথ্যই উঠে এসেছে। তবে কার সঙ্গে করেছেন তা ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না।’

কেউ কি রুবেলের পক্ষ হয়ে রিপোর্ট প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, এমন কেউ আসেননি যিনি হ্যাপির রিপোর্ট পাল্টে দেওয়ার জন্য বলেছেন বা চেষ্টা করেছেন। আর যদি কেউ বলতেনও তাহলে সেটাও এক্ষেত্রে কোনো কাজে আসতো না। কারণ, একটি বিশেষ বোর্ড গঠণের মাধ্যমে হ্যাপির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।’

বুধবার দুপুরের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মিরপুর থানা পুলিশের হাতে হ্যাপির ফরেনসিক প্রতিবেদনের কপি তুলে দেওয়া হয়। এরপর যাবতীয় কার্যক্রম মিরপুর থানা গ্রহন করবে।

মিরপুর থানার এসআই ও এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ জানান, ফরেনসিক বিভাগ থেকে প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। এখন তা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

তাকে সেদিনই ভিকটিম সেন্টারে নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে নিয়ে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এরপর তাকে মিরপুর থানায় নিয়ে মামলাসংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাসায় পাঠানো হয়।

বাসায় থাকা অবস্থায় একাধিক গণমাধ্যম হ্যাপির সাক্ষাৎকার প্রচার করে। তবে গত রোববার রাতে ঢাকা এফএম ৯০.৪ এ ‘অন্ধকারের গল্প’ অনুষ্ঠানে রুবেলের সঙ্গে প্রেম-সম্পর্কিত পুরো বিষয়টি পরিষ্কার করেন হ্যাপি। এরপর তিনি আর কোথাও সাক্ষাৎকার দেননি। এখন তিনি বাসায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই