সামরিক জাদুঘর বঙ্গবন্ধুর নামে হচ্ছে

রাজধানীর বিজয় সরণির সামরিক জাদুঘরের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর’ রাখা হচ্ছে। জাদুঘরটিকে আরও আধুনিক করার চিন্তা চলছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্পও প্রস্তুত করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর নির্মাণ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায়। প্রস্তাবনা অনুসারে চলতি বছর থেকে ২০১৯ সাল নাগাদ এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়েছে। সশস্ত্রবাহিনীর নিজস্ব ১০ একর জমিতে নির্মিত এই জাদুঘরটি এখন সবার জন্য উন্মুক্ত।

বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হচ্ছে। রাজধানীর শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।

প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুসারে ,বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয় ২০০৯ সালে। সেনা প্রধানের নেতৃত্বে সব সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধির সমন্বয়ে ২০১০ সালে একটি আধুনিকায়ন কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি জাদুঘরটিকে বিশ্বমানে উন্নীতকরণ ও বঙ্গবন্ধুর নামে করার সুপারিশ করে।

প্রকল্পের আওতায় দুই তলা বেইজমেন্টসহ ৮ তলাবিশিষ্ট জাদুঘরের মূল ভবন ও অন্যান্য ব্লক নির্মাণ, ভৌত সুবিধাদি নির্মাণ, জেনারেটরসহ বহি:বিদ্যুৎ সরবরাহ, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ, আসবাবপত্র ক্রয় ও সয়েলটেস্ট করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশি সামরিক প্রতিনিধি, সকল রাষ্ট্রীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, এনডিসি স্টাফসহ অন্যান্য প্রশিক্ষনার্থীরা বিদ্যমান সামরিক জাদুঘর পরিদর্শন করে থাকেন। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় জাদুঘরটির আধুনিকায়ন প্রয়োজন ।

প্রকল্প প্রস্তাবনায় পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জিয়াউল ইসলাম পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সশস্ত্রবাহিনীর ইতিহাস, ঐতিহ্য অর্জন ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এ প্রকল্পের মাধ্যমে জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে। এটি আত্মমর্যাদাশীল ও আত্মবিশ্বাসী জাতি গঠনে অবদান রাখবে। একইসঙ্গে প্রকল্পটি উন্নয়ননীতির আওতায় আর্থসামাজিক উন্নয়ন তথা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এ বিবেচনায় প্রকল্পটি আগামী একনেকে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই