সতেজ থাকা যায় গরমেও

বৈশাখের আর বেশী দেরি নেই। এর মাঝেই থেকে থেকে বিশ্রী গরম পড়ছে। তাই বদলে যাচ্ছে সতেজ থাকার নিয়ম। তবে গরম জনিত সমস্যা মোকাবেলাও কঠিন কিছু নয়। এর কিছু ঘরোয়া সমাধান আছে। সামান্য কিছু নিয়ম মেনে থাকতে পারেন চনমনে। তেমন কিছু বিষয় জেনে নিন—

গরম আমাদের শরীর থেকে পানি শুষে নেয়। তার ছাপও রেখে যায় শরীরে। তাই এ সময়ে ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে বেশী বেশী পানি পান করুন। বাইরে বা অফিসে হাতের কাছে পানির বোতল রাখুন। এ সময়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পানি ঠাণ্ডা রাখতে মাটির কলসি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি একদমই নয়।

হাতের কাছে টিস্যু বা ব্লটিং পেপার বা অয়েল কন্ট্রোল পেপার রাখুন। মুছে নিন মুখের অতিরিক্ত ঘাম ও তেল| এতে ত্বক ছিদ্র বন্ধ হওয়ার ঝামেলা থাকবে না।

গরমে বেশী বেশী মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন। দেখবেন কত সহজে ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। গরমে ত্বকে ঘামসহ নানা ধরনের ময়লা জমে। পানি হল প্রাথমিক ও উৎকৃষ্ট ক্লিনজার। সুযোগ পেলেই স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে গোসল করুন। ব্যবহার করুন জীবাণু নিরোধক সাবান। নখ বাড়তে দিবেন না। গরমে নখের কোণে সহজেই ময়লা জমে, যা নানা ধরনের রোগের কারণ।

গরমে তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে মেকআপ করুন। এ সময়ের মেকআপ হবে হাল্কা। যা আপনাকে সতেজ ও স্নিগ্ধ দেখাবে। যদি ত্বক তৈলাক্ত হয় তবে হাল্কা করে ট্যালকম পাউডার বুলিয়ে দিন| ঘামের গন্ধ দূর করতে ডিওডেরান্ট ব্যবহার করুন। উৎকট বডি স্প্রের চেয়ে এটি ঢের ভাল।

ময়েশ্চারাইজার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্য রক্ষা হয়। তবে স্প্রে মুখ থেকে ৩-৪ ইঞ্চি দূরে রাখুন। এতে স্প্রে সারা মুখে ছড়াবে। মেকআপও ঠিক থাকে।

গরমে ক্যাফেইন ও কার্বনেটেড জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন। অনেকে কাজের মাঝে ঘনঘন চা ও কফি পান করেন। আবার কেউ গরম তাড়াতে কোমল পানীয়ের দ্বারস্থ হন। এগুলো হয়ত সাময়িকভাবে আরাম দেবে। কিন্তু হজমের সমস্যাসহ নানান ধরনের শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী এ সব পানীয়।

গরমে বেছে নিন হাল্কা ও পুষ্টিকর পানীয় ও খাবার। দুধে সামান্য এলাচ দানা ও গোলাপের পাপড়ি ফুটিয়ে নিন| ঠাণ্ডা করে পান করুন সতেজ লাগবে। এ ছাড়া আম, তরমুজ, আনারসের মতো মৌসুমী ফলের শরবত পান করতে পারেন। সম্ভব হলে বাসায় বানিয়ে নিন। শরবতে সামান্য পুদিনা পাতা মেশাতে পারেন। ফলাফল হাতেনাতে টের পাবেন।

এড়িয়ে চলুন ভিনেগার, কেচাপ, বিট লবণ জাতীয় খাদ্য উপকরণ। বেশী মসলাদার বা ভাজা-পোড়া খাবার কখনোই আপনার উপকার করেনি। গরমেও করবে না— এটা নিশ্চিত থাকুন।

অবশ্যই ঠাণ্ডা-গরমের ভারসাম্য মেনে চলবেন। গরম লাগছে— তাই বলে বাইরে থেকে ঘর্মাক্ত অবস্থায় ফিরে ঠাণ্ডা পানি পান করবেন না। নইলে বিশ্রী সর্দি-কাশির সমস্যায় পড়তে হবে। মিস হবে গরমের সৌন্দর্য। আর বাচ্চাদের দিকে ভাল করে নজর রাখুন।



মন্তব্য চালু নেই