সঙ্গিনীর স্তন ক্যান্সার রোধে পুরুষ যা করবেন জেনে নিন

স্তন ক্যান্সার। বর্তমান যুগে মেয়েদের একটি বড় সমস্যা। তবে পুরুষরাও কম করে হলেও এ রোগে আক্রান্ত হন।

গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১২ জনের মধ্যে একজন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। ভারতে ২০১৩ সালে শুধু স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৭ হাজার ৫৮৭ জন নারী। আর দেশটিতে স্তন ক্যান্সার বৃদ্ধির হার ১৬৬শতাংশ।

বাংলাদেশে প্রতিবছর এক লক্ষ ২২ হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৯১ হাজার রোগী মারা যান। বর্তমানে দেশে মোট ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ১২ থেকে ১৪ লক্ষ। ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের মধ্যে জরায়ু ও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শুধু যুক্তরাষ্ট্র, ভারত আর বাংলদেশই নয়। এ সমস্যা বিশ্বজুড়ে দিন দিন বাড়ছে। তবে নারীদের এই মরণব্যাধী স্তন ক্যান্সার থেকে বাঁচাতে সঙ্গী হিসেবে আপনিও পারেন তাকে সাহায্য করতে। এমনটাই বেড়িয়ে এসেছে গবেষণায়।

তাহলে এবার জেনে নেয়া যাক সঙ্গিনীর স্তন ক্যান্সার রোধে আপনার কী করণীয়?

আপনি যখন জীবন সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌন মিলনে যাবেন, তখন দীর্ঘ সময় ধরে তার ‘স্তন চুষে দিন’। যৌন সংসর্গের সময় যত বেশি সময় ধরে এ কাজটা করা হবে, স্তন ক্যান্সার হওয়ার আশংকাটা ততবেশি কমে যাবে।

তবে স্তন ক্যান্সারের আশংকা পুরুষেরও থাকে। যদিও গবেষণায় দেখা গেছে নারীদের তুলনায় পুরুষের আশংকাটা মাত্র ০.৫ শতাংশ। পুরুষের সে আশংকা থেকেও মুক্ত থাকা সম্ভব। যদি সঙ্গমের সময় নারীও তার সঙ্গীর তথা স্বামী বা বয় ফ্রেন্ডের স্তন-বৃন্ত দু’টি অনেক ক্ষণ ধরে মুখের মধ্যে ধরে রাখেন।

সম্প্রতি এক গবেষণার ফলাফল এমনটাই জানাচ্ছে।

গবেষকরা বলছেন, যৌন সংসর্গের সময় দুই সঙ্গীরই একে অন্যের কথা ভাবা উচিত। যৌনতার উষ্ণতায় অগ্র-পশ্চাৎ, সব কিছু ভুলে গেলে চলবে না। সঙ্গীর ভবিষ্যতের কথাও মাথায় রাখতে হবে।

ওই গবেষকদের দাবি, যৌন সংসর্গের সময় যত বেশি সময় ধরে দুই সঙ্গী একে অপরের ‘ব্রেস্ট সাক’ করবেন, ততই তারা একে অন্যের ক্যান্সারের আশংকা কমিয়ে দেবেন।

ব্রিটিশ গবেষক জেমস ক্লস্কির ওই গবেষণা হালে বিশ্ব জুড়ে আলোড়ন ফেলেছে। এর পাশাপাশি, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়েরও একটি সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল জানাচ্ছে, ‘ব্রেস্ট সাকিং’-এর সঙ্গে যদি মায়েরা তাদের সন্তানকে কম করে দু’বছর ধরে এক টানা স্তন্যপান করান, ধূমপান কম করেন, তা হলে তাদের স্তন ক্যান্সারের আশংকা অন্তত ৫০ শতাংশ কমে যায়।

গত ১০ বছর ধরে বিভিন্ন দেশে সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

তারা এও দেখেছেন, কৃষ্ণাঙ্গ মহিলাদের চেয়ে শ্বেতাঙ্গরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন স্তন ক্যান্সারে। এর অন্যতম কারণ, কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা ও তাদের পুরুষ সঙ্গীদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, যৌন সংসর্গের সময় তারা অনেকটা বেশি সময় ধরে ‘ব্রেস্ট সাক’ বা স্তন চুষতে ভালোবাসেন। ভালোবাসেন ‘চেস্ট সাক’ বা পুরুষের বুক চুষে দিতেও।

তবে ভিন্ন মতও দিয়েছেন কোনও কোনও গবেষক। তাদের বক্তব্য, এমন কোনও নির্ভরযোগ্য তথ্য তাদের হাতে নেই, যাতে তারা বলতে পারেন, যৌন সংসর্গের সময় ‘ব্রেস্ট সাকিং’ অনিবার্য ভাবেই কমিয়ে দিতে পারে স্তন ক্যান্সারের আশংকা।

ঘানার পিস অ্যান্ড লাভ হসপিটালের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ বিয়াত্রিস ওয়াইয়াফে আদ্দাই বলেছেন, ‘ব্রেস্ট সাক’ করলেই স্তন ক্যান্সারের আশংকা কমে যাবে, এমন কথা বলার জন্য যে তথ্য লাগে, আমার হাতে সেসব তথ্য নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, যৌন সংসর্গের সময় খুব বেশি সময় ধরে ‘স্তন’ নিয়ে নাড়াচাড়া করলে, তা স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ওই সম্ভাবনা কমানোর জন্য খুব আঁটোসাটো অন্তর্বাস পরার ‘বদভ্যাস’ও ছাড়তে হবে নারীদের।



মন্তব্য চালু নেই