শিশু নির্যাতনকারীরা রেহাই পাবে না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশু নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অপরাধী ধরতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, খুব শিগগিরই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো শিশু নির্যাতনকারীই রেহাই পাবে না।

শনিবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে ফজিলাতুন্নেছার জন্মবাষির্কীর অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের অদ্ভুত চরিত্র। একজন মা-বাবা একজন শিশুকে কিভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে? আমার বুঝে আসে না।

তিনি বলেন, ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছে। এটা কোন ধর্মে আছে? ইসলাম তো শান্তির ধর্ম। বাংলাদেশে এসব হতে দেয়া হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে মায়ের পেটে শিশু গুলিবিদ্ধ হচ্ছে। ১৫ আগস্টও মায়ের পেটের শিশুকে গুলি করে হত্যা করেছে ঘাতকরা। সেই বিচার আমরা দেরিতে হলেও করেছি। কিন্তু একটি পক্ষ বিচারে বাধা দিয়েছিল। একারণেই বলা হয়- একটি অপরাধ আরেকটি অপরাধকে উৎসাহিত করে।

মায়ের জন্মবার্ষিকীতে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মায়ের জন্মদিন জেনেছি দাদার কাছ থেকে। তার কাছে কাবিন নামা ছিল। সেখান থেকে আমরা মায়ের জন্মদিন জেনেছি। আগে জন্মদিন নিবন্ধন করা ছিল না। আমরা ১৯৯৬ তে ক্ষমতায় আসার পর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করি।

তিনি বলেন, আমার মা রাজনৈতিক সচেতন মানুষ ছিলেন। আমার বাবা জেলে থাকলে মা রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে খোঁজ নিতেন, সাহার্য করতেন। তিনি বাজারের টাকা দিয়ে নেতাকর্মীদের সাহার্য করতেন। এভাবে তিনি দলের জন্যও ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছয় দফার আন্দোলন নিয়ে আমার মাকেও গোয়েন্দা সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তিনি বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন।

তিনি বলেন, আগে একটি কর্মসূচি পালন করতে অনেক কষ্ট করতে হতো। এখনকার মতো একটি ডাক দিলেই হরতাল হয়ে যেতো না। সেসময় বাবার অনুপস্থিতে মা অনেক কর্মসূচিই সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই