রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ নিয়ে সংঘাত সন্তু ও ঊষাতন দায় এড়াতে পারেন না : চিনু

রাঙ্গামাটিতে মেডিকেল কলেজ নিয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্য পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা ও সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারেন না’ বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু।

রাঙ্গামাটিতে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করে নয়, এটি চলমান রেখে রাঙ্গামাটিতে উদ্ভূত সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনে সরকারকে সহযোগিতা দিতে উষাতন তালুকদারের প্রতি আহ্বান জানান পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু।
রাঙ্গামাটির নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করে সরকারকে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার যে আহ্বান জানিয়েছেন সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফিরোজা বেগম চিনু এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গুটিকয়েক সন্ত্রাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাঙ্গামাটির মেডিকেল কলেজ অন্যত্র স্থানান্তরের পরিকল্পনাও কোনোভাবেই রাঙ্গামাটির জনগণ মেনে নেবে না।

ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, পার্বত্য জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করে নয়, আলোচনার ভিত্তিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে যেতে চায় সরকার। সে লক্ষ্যে তিনি সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন।
তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজের আসন বরাদ্দ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, মেডিকেল কলেজ রাঙ্গামাটিতেই হবে। হয়তো এ নিয়ে আরও আলোচনা হতে পারে। গুটিকয়েক সন্ত্রাসী যারা সংগঠনের নামে চাঁদাবাজী করে, তাদের হুমকি-ধামকিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনোই মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেবেন না।

তিনি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরকারীপক্ষ জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনাদের আলোচনার জন্য অনেক বলা হয়েছে। আপনারা আলোচনায়ও যাবেন না, আলোচনাও করবেন না। শুধু দূর থেকে বিরোধিতা করে যাবেন, তা কেউ মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, রাঙ্গামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জায়গাও নির্ধারণ হয়েছে। আসুন আলোচনার মাধ্যমে এ কার্যক্রম আমরা এগিয়ে নিয়ে যায়।



মন্তব্য চালু নেই