মহাসড়কে অটোরিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে

মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক যোগাযোগ সচিব এ এ এম এন সিদ্দিক। তিনি বলেন, জাতীয় মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত সরকার বাস্তবায়ন করবেই। এ থেকে সরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। বিষয়টি না বুঝেই অনেকে আন্দোলন করছেন।

আজ রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের নিজ কক্ষে সচিব সাংবাদিকদের একথা জানান।

দেশের আড়াই লাখ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে মাত্র তিন হাজার ৫৭০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানান সচিব।

জাতীয় মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রাথমিকভাবে না বুঝে অনেকেই আন্দোলন করছেন মন্তব্য করে সচিব ছিদ্দিক বলেন, আস্তে আস্তে তা স্থিমিত হয়ে যাবে। মানুষের জীবনও রক্ষা পাবে।

সচিব বলেন, মাত্র তিন হাজার ৫৭০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক বাদে অন্য সড়কে এসব যানবাহন চলাচল করতে পারবে। মাঠ পর্যায়ের লোকজন সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। ধীরগতির যানের সঙ্গে দ্রুতগতির যান চলাচল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

সড়কগুলো ঠিক করা হচ্ছে জানিয়ে ছিদ্দিক বলেন, আগামী এক বছর পর সড়ক খারাপের জন্য আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না।

তিন চাকার যানগুলোর জাতীয় মহাসড়কে ওঠা ঠেকাতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, ডিআইজি, ডিআইজি হাইওয়ে এবং এসপিদের অনুরোধ করা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, বিআরটিএ’র ও নিজস্ব ম্যজিস্ট্রেট রয়েছে, তারাও এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করবেন।

সড়ক সচিব বলেন, কোন জেলার কতটুকু জাতীয় মহাসড়ক রয়েছে তা ম্যাপের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওইসব ম্যাপ ওয়েবসাইটেও দেওয়া আছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ১ আগস্ট থেকে সব মহাসড়কে সিএনজিসহ তিন চাকার সব যান চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার। গতকাল ছিল নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন। কিন্তু কাল থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় তিন চাকার যানবাহনের চালক, শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে তারা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ররিবার সকাল থেকে দেশের প্রায় প্রত্যেকটি মহাসড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন চালক-শ্রমিকরা।

এরই মধ্যে বরিশালের গৌরনদীতে মহাসড়কে হিউম্যান হলার চলাচলের প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই