বৈধ পথ বন্ধ হওয়ায় বেড়েছে মানবপাচার

বৈধ পথে জীবিকার সন্ধানে বিদেশগমনের প্রক্রিয়া থাকায় মানবপাচার বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। মালয়েশিয়ায় উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের আগামী একমাসের মধ্যেই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সচিব।

তিনি বলেন, ‘সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে পাচার হওয়া বাংলাদেশিদের আগামী একমাসের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এ ব্যাপারে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক সম্মেলনেও জানানো হয়েছে।’ আর পাচার বাংলাদেশির সংখ্যা ১২০০ থেকে ১৫০০ হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মানবপাচার বন্ধে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার। এক সঙ্গে কাজ করলে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ সম্ভব হবে। মানবপাচারের সঙ্গে শুধু এ অঞ্চলের নয়, আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্র জড়িত।’ এই চক্র অস্ট্রেলিয়া থেকে ইরান পর্যন্ত বিস্তৃত বলেও জানান সচিব।

মানবপাচারের আসল কারণ অভাব কিংবা দারিদ্র্য নয়, এর পেছনে আরও পারিপার্শ্বিক কারণ রয়েছে বলে মনে করেন সচিব। তিনি বলেন, ‘লিগ্যাল উপায় যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখনই অবৈধভাবে মানবপাচার বেড়ে যায়। যা শত শত বছর চলে আসছে।’

মানবপাচার রোধে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে ভারতে সঙ্গেও একটি চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।

মোদির সফর প্রসঙ্গে বিস্তারিত কিছু না বললে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত প্রায় এক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমশক্তি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে বলা যায়। সর্বশেষ মালয়েশিয়ার সঙ্গে সরকারিভাবে শ্রমশক্তি রপ্তানির ব্যাপারে চুক্তি হলেও মাত্র সাত হাজার জনকে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। আর সম্প্রতি সৌদি আর নারী শ্রমিক নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ সফর করলেও সেসব দেশে এখনো অভিবাসন উন্মুক্ত হয়নি। এসব কারণেই সাগরপথে শত শত মানুষ মালয়েশিয়া পাড়ি দিতে গিয়ে জীবন শঙ্কায় পড়ছে। কেউ কেউ দালালদের খপ্পরে পড়ে অপহরণের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে অনেকে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পাচ্ছে কারো মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার গণকবরে।



মন্তব্য চালু নেই