বাংলাদেশি পণ্যে হালাল সনদ দিতে চায় ভারত

বাংলাদেশে প্রস্তুত হওয়া পণ্যগুলোকে হালাল সনদ দিতে চায় ভারত। বাংলাদেশ সফররত ইন্ডিয়ান মুসলিম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইএমসিসিআই) নেতারা এই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমসিসিআইয়ের একটি প্রতিনিধিদল।

বৈঠকে আইএমসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দাউদ খান বলেন, ‘আমরা মুসলিম চেম্বার হিসেবে ভারতে বিভিন্ন হালাল পণ্যের সাটিফিকেট প্রদান করছি, যা আন্তর্জাতিকমানের। আমরা বাংলাদেশি পণ্যগুলোকেও হালাল সার্টিফিকেট দিতে আগ্রহী। বাংলাদেশ চাইলে এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিতে পারে।’

বৈঠকে ভারতের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁরা তাঁদের দেশে ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁরা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদেরও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে সহায়তামূলক কাজ করতে চান। তাঁদের জন্য বাংলাদেশের কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করলে ভালো হয় তা খুঁজে বের করতে কাজ করতে চান। এ জন্য উভয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা দরকার।

বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিনিয়োগ সম্ভাবনার দেশ। আপনারা চাইলে আমাদের দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন। ভারতের পক্ষ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তায় বিষয়ে যে সমঝোতা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা দুই পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।’

হালাল পণ্যের সার্টিফিকেট সম্পর্কে মাতলুব বলেন, ‘বিশ্বের দুটি দেশ (ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া) হালাল পণ্যের সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে। আপনাদের মান যদি আন্তর্জাতিক মানের হয়, তাহলে আমরা বিবেচনা করব।’ একই সঙ্গে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চাহিদা অনুসারে পণ্য রপ্তানির আহ্বান জানান তিনি।

বৈঠকে আইএমসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দাউদ খানের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি অংশ নেন। বাংলাদেশের পক্ষে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাতলুব আহমাদ ও সংগঠনের সচিব হোসেন জামিলসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই