প্রধানমন্ত্রীকে যে কথা বলা হয়নি ভ্যানচালকের

ভ্যানের পিছনে বসা স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার নাতি নাতনিরা। আর চালক কিশোর ভ্যানচালক ইমাম শেখ। মনে তার তীব্র আকাঙ্ক্ষা প্রধানমন্ত্রীকে কিছু একটা বলবেন। কিন্তু সাহস হয় না। কি করে বলবে সে সরকারপ্রধানকে? এমনি সব প্রশ্ন তার মনে। শেষ পর্যন্ত বলা হলো না তার।

ইমামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী সরদার পাড়ায়। পঞ্চম শ্রেণিতে আটকে যাওয়া ইমামের এখন জীবনযুদ্ধ চলে ভ্যানের হ্যান্ডেল ধরে। বাবা আব্দুল লতিফ মানসিক রোগী, মা গৃহিণী। ইমাম শেখরা দুই ভাই, তিন বোন। এক ভাই ঢাকায় নতুন চাকরি শুরু করেছেন। ইমাম এলাকাতেই ভ্যান চালায়। তার উপার্জনেই চলে সংসার।

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি দুপুরের দিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধি এলাকার ১ নম্বর গেট থেকে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিজের ভ্যানে বহন করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যায় ইমাম শেখ।

ভ্যান থেকে নেমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিশোর ভ্যানচালক ইমামকে ৫০০ টাকা বের করে দেন। ইমাম টাকা নিতে রাজি হয়নি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভ্যানে চড়েছেন- এতেই সে মহাখুশি, আনন্দে আত্মহারা। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইমামের পকেটে টাকা গুজে দেন।

ইমাম জানায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী তার ভ্যানে চড়ে ঘুরবেন। আর সে হবে সেই ভ্যানের চালক। এমনটা সে কোনো দিনও কল্পনা করতে পারেনি।

“প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা চাকরির কতা (কথা) কতি চাইছিলাম, এ কতাডাই কতি পারিনি। ” শনিবার ফোনে এসব কথা বলেন ভ্যানচালক ইমাম শেখ।



মন্তব্য চালু নেই