প্রতিবাদের ঝড় ফেসবুকে

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হার কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না ১৬ কোটি বাঙালি। টিম ইন্ডিয়া ভালো খেলেছে। অভিযোগ- সেই সঙ্গে ভারতের হয়ে আরো ভালো খেলেছে আম্পায়াররা।

একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছেন তারা। প্রতিবাদ এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। ব্রিটিশ আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড এবং পাকিস্তানি আম্পয়ার আলিম দার। দুজনই একচোখা আম্পায়ারিং করেছেন ভারতের পক্ষে। সেই সঙ্গে থার্ড আম্পয়ার, যিনি রিভিউ দেখে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তিনিও খেলেছেন ভারতের পক্ষে। তাদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফেসবুক পেজ।

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ দল। ফেসবুকে অভিযোগ উঠেছে, ইংল্যান্ডের হারের প্রতিশোধ নিতে একপেশে আম্পায়ারিং করেছেন ইয়ান গোল্ড। এ নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে খবরও হয়েছে। অন্য আম্পায়ার আলিম দার পাকিস্তানি। বাংলাদেশের প্রতি পাকিস্তানের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও প্রতিবাদ হয়েছে ফেসবুকে।

আম্পায়ারদের একপেশে সিদ্ধান্ত দেখে হতবাক হয়েছেন আইসিসির সভাপতি বাংলাদেশের আ হ ম মোস্তফা কামাল। তিনি বিষয়টি আইসিসিরি বোর্ড সভায় উত্থাপনের কথা বলেছেন। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে আম্পয়াররা যে অবিচার করেছেন তাতে হয়তো তাদের শাস্তি হবে। কিন্তু পরাজয় তো আর বিজয় হয়ে আসবে না বাংলাদেশ দলের জন্য!

ফার্স্ট বোলার রুবেল হোসেনের বল খেলে কট আউট হন রোহিত শর্মা। কিন্তু আম্পয়ার নো বল দিলেন। পরে সেই রোহিত শর্মাই শতক হাঁকিয়ে ঘুরিয়ে দিলেন ম্যাচের ভাগ্য। বল নাকি কোমরের ওপরে ছিল, যা অধিক উচ্চতার বাউন্স। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল কোমরের নিচে ছিল। ফলে এটি একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত।

33

রোহিত শর্মা সে সময় আউট হলে খেলার মোড় ঘুরে যেতে পারত। এই আউট না দেওয়ার পরপরই ফেসবুকে অসংখ্য স্ট্যাটাস পোস্ট হয়। বাংলাদেশিদের ক্রোধের বাহিঃপ্রকাশ হয়েছে এসব স্ট্যাটাসে। এই আউট নিয়ে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট কিংবদন্তী শেন ওয়ার্নের মন্তব্য চোখে পড়ার মতো। তিনি বলেছেন, এটি নো বল ছিল না, বাজে সিদ্ধান্ত।

22

ব্যাটিংয়ের সময় মাহমুদউল্লাহর বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ আউট হওয়া নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এসব নিয়ে ক্ষুব্ধ দর্শকদের কেউ কেউ আম্পায়ারদের প্রতি জুতা দেখিয়ে ছবি তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, অনেকে বলেছেন কটূ কথা।

11

খবরের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া কয়েকটি ফেসবুক স্ট্যাটাস পড়ে দেখুন, তাহলেই বুঝবেন- প্রতিবাদের ভাষা কতটা শক্তিশালী। সত্যিই এই হার মেনে নেওয়ার নয়। বাংলাদেশের ছেলেরা যখন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে খেলেছে, তখন তাদের সঙ্গে ছিল দেশ-বিদেশের কোটি কোটি বাঙালি ও তাদের সমর্থক। টিভির পর্দায় চোখ ছিল বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষের। এমন অবস্থায় আম্পায়ারদের নির্লজ্জ একপেশে বিচার সহজে মেনে নেওয়ার নয়। এর কঠোর বিচার হওয়া উচিত।

index

বাংলাদেশিরা হয়তো আবেগ দেখিয়েছে। কিন্তু তা যৌক্তিক। বিশ্ব আসরে দেশের জয় কে না দেখতে চায়! আর যখন তা নিয়ে ছলচাতুরি হয়, তার প্রতিবাদ করাও দেশের মানুষের দায়িত্ব। ফেসবুকের স্ট্যাটাসগুলো সেই প্রতিবাদের ভাষায় তৈরি হয়েছে। ধন্যবাদ- ফেসবুক ফ্রেন্ডস।



মন্তব্য চালু নেই