নারীরা আক্রান্ত হলে ফোন ১০৯২১ নম্বরে

যৌন নিপীড়নসহ এই ধরনের ঘটনায় আক্রান্ত হলে ১০৯২১ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাইতে পারবেন বাংলাদেশের নারীরা।

সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার প্রেক্ষাপটে বাংলা নববর্ষের আগে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকায় ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হান ফুগল এসকায়ের।

তিনি জানান, ডেনিশ সরকারের সহায়তায় ২০১২ সাল থকে এই হেল্পলাইন চালু রয়েছে। এটি দেখাশোনা করে ‘দি ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার ফর ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন অ্যান্ড চিল্ড্রেন’।

এই হেল্পলাইনে বিনা খরচে ফোন করে ২৪ ঘণ্টাই সেবা পাওয়া যাবে জানিয়ে আক্রান্ত হলে তা নিতে বাংলাদেশের নারীদের প্রতি আহ্বান জানান ডেনিশ রাষ্ট্রদূত।

এই হেল্পলাইন চালু থাকলেও এর প্রচার বেশি হয়নি বলে তা নিয়ে হতাশার সুরও ছিল এই নারী রাষ্ট্রদূতের কণ্ঠে।

আমেরিকান সেন্টারে ‘ছায়া রাষ্ট্রদূত উদ্যোগ’ নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে এসকায়েরের সঙ্গে আরও তিন নারী রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রের মার্শা বার্নিকাট, ব্রাজিলের ওয়ানজা ক্যাম্পোস এবং নেদারল্যান্ডসের লিওনি কুলেনারেও ছিলেন।

তারা সবাই এক বাক্যে বাংলাদেশের নারীদের উপর সহিংস ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত বছর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন এবং সম্প্রতি কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে পহেলা ডাচ রাষ্ট্রদূত কুলেনারে বলেন, অপরাধীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

“এই ধরনের সমাজ কখনোই চলতে পারে না, যেখানে নারীর প্রতি নিপীড়নকারীরা মুক্ত থাকবে। বিশ্বের কোনো দেশেই তা চলতে পারে না।”

মার্শা বার্নিকাট বলেন, অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তি দেওয়ার মধ্য দিয়েই এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো সম্ভব।

সংবাদ সম্মেলনে ডাচ ছায়া রাষ্ট্রদূত জাইবা তাহিয়া, ডেনমার্কের ছায়া রাষ্ট্রদূত তালবিয়া তানভির, যুক্তরাষ্ট্রের ছায়া রাষ্ট্রদূত তাসনীম কিবরিয়া এবং ব্রাজিলের ছায়া রাষ্ট্রদূত মাহজাবীন খানকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

নারীদের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হয়ে ওঠার পথে সহায়ক ভূমিকা রাখার লক্ষ্য থেকে বাংলাদেশের এই চার তরুণীকে ছায়া রাষ্ট্রদূত করার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

মার্শা বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের অংশীদারিত্বের যে সব কাজ রয়েছে, তার অন্যতম হচ্ছে লৈঙ্গিক সমতার বিষয়টি।

সোমবার নেদারল্যান্ডস দূতাবাসে ছায়া রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করে জাইবা কূটনৈতিক মিশনে কাজ কীভাবে করা হয়, তারা সরাসরি অভিজ্ঞতা নেবেন।

নারী রাষ্ট্রদূতদের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের আরও নারীদের তাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে প্রেরণা জোগাবে।

একটি প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এই চার তরুণীকে ছায়া রাষ্ট্রদূত হিসেবে নির্বাচন করেছে বিদেশি মিশনগুলো।



মন্তব্য চালু নেই