দেশে এখন অভাব নেই : কামরুল

দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, এখন মানুষের আর অভাব নেই, উত্তরবঙ্গে মঙ্গা নেই।

তিনি বলেন, এখন রিকশাওয়ালাও ভালো চাল খায়। গ্রামে-গঞ্জে কাজের লোক পাওয়া যায় না। আগে মানুষ খাবার চাইতো, এখন সবাই ভালো খাবার চায়। নিরাপদ খাবার খেতে চায়। এই নিরাপদ খাবারের ব্যবস্থা করছে বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার।

শনিবার বাংলাদেশ খাদ্য পরিদর্শক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে দেশের খাদ্য ঘাটতি ছিল না। কিন্তু ২০০১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। সাড়ে ৭ কোটি মানুষের দেশে খাদ্য আমদানি করতে হতো।

মন্ত্রী বলেন, অনেক সাংবাদিক লেখেন গম মজুদের স্থান নেই। এখন ১২ লাখ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার ব্যবস্থা রয়েছে। এটা কি আমরা একদিনে তুলি নাকি। গুদামে এক-দেড় লাখ গম রাখলে আবার তা খালাস করার পরে আবার তা ঢোকানো হয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সাংবাদিকদের এই সমস্ত বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন বুঝি না।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দেশে সাড়ে দশ প্রোটিনের গম আমদানি করা হতো। যেটা বিদেশের মানুষ খায় না। আজকে আমরা সাড়ে বারো প্রোটিনের গম আমদানি করছি। আমরা বারবার জাহাজ ফিরিয়ে দিচ্ছি। আমাদের নির্দেশ অনুযায়ী গম আসতে হবে। কোনো আপস চলবে না।’

খাদ্য কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, আপনারা দুর্নীতি করবেন না। বদলির কারণে কেউ যদি ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেন তবে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কোনো অনৈতিক চাপ দেবেন না এবং অনৈতিক চাপে মাথা নত করবেন না। খাদ্য মন্ত্রণালয় যেভাবে চলছে চলতে দেন।



মন্তব্য চালু নেই