‘দুই বছর পর পর বেতন বাড়তে পারে’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, নতুন করে পে-কমিশন করে আর কোনো পে-স্কেল হবে না। সম্প্রতি পে-কমিশন যে নির্দেশনা দিয়েছে, সে অনুযায়ী দুই বছর পর পর কিছুটা বেতন বাড়তে পারে।

মঙ্গলবার বিকালে সিলেট নগরীর একটি হোটেলে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রাক-খুতবা পর্যালোচনা বিষয়ক খতিব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উদ্যোগে এই খতিব সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

নতুন বেতন স্কেল পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করছে সরকার জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী এখনো বিচার বিভাগের বেতন-ভাতা চালু হয়নি। তাদের বিষয়টি এ মাসেই ফয়সালা হবে।

মুহিত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কেবল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়, সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ইমামদের বেতন বাড়ানোর উদ্যোগও শিগগির বাস্তবায়ন হবে।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ কখনো সমাজ গ্রহণ করতে পারে না। ইসলাম এটাকে সমর্থন করে না। ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ দমনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেটা করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন উৎসব হয়েছে এবং হচ্ছে, যেখানে শান্তি শৃংখলা বজায় রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী ইমামদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই দেশের মানুষ বেশির ভাগই মুসলমান। তাদের ধর্ম পালনের বাধ্যবাধকতা সম্বন্ধে সচেতন করার মূল দায়িত্ব পালন করেন ইমামরা। সমাজ গঠনে, জীবন গঠনে সবাই আপনাদের দিকনির্দেশনা পালন করেন।

তিনি বলেন, আমরা নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি না। তবে চেষ্টা করলে সফল হওয়া যায়। যা আল্লাহর দরবারে গৃহীত হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের রাসুল হজরত মোহাম্মদ (সা.) শুধু মুসলমানদের জন্য আসেননি; তিনি সারা মানব জাতিকে সরল পথ দেখানোর জন্য পৃথিবীতে এসেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের দায়িত্ব অত্যন্ত মহান, অত্যন্ত মূল্যবান। মানুষের চরিত্র গঠন করতে বিভিন্ন ভালো সূত্রের খবরের মাধ্যমে, জ্ঞানের বিচারের মাধ্যমে আপনারা কাজ করেন। এই কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর দায়িত্বভার আপনারা নিজেরাই নিয়েছেন। সুতরাং, নিজেদের দায়িত্ব সূচারুভাবে সম্পন্ন করতে হবে।

তিনি সবসময় ইমামদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমরা সবসময় আছি। আপনাদের সহায়তায়ও সবসময় থাকবো। এব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত থাকুন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্ণর মিছবাহুর রহমান চৌধুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড গভর্নর ও চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদের খতিব অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ জালালুদ্দীন আল-কাদেরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেটের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মো. রুকন উদ্দিন, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ। শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ক্বারী মো. শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের সহকারী পরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।



মন্তব্য চালু নেই