টাঙ্গাইলের খান পরিবারের সদস্যদের বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার দাবি

​টাঙ্গাইলের প্রভাবশালী খান পরিবারের সদস্য- সহিদুর রহমান, জাহিদুর রহমান;সানিয়াত খান বাপ্পা এবং টাঙ্গাইল-৩ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ আমানুর রহমান খান (রানা) ও তাঁর ভাইদের দল থেকে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। রোববার আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এই দাবি জানান।

ফারুক আহমেদের স্বজন ও টাঙ্গাইল আওয়ামী লীগের “খান পরিবার” বিরোধী অংশ “আওয়ামী সমর্থক পরিবার” ব্যানারে এই সমাবেশের আয়োজন করে। এতে টাঙ্গাইল-২ আসনের আওয়ামী লীগ সাংসদ খন্দকার আসাদুজ্জামানসহ জেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা অংশ নেন।

রবিবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকা এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল শহরের নিরালা মোড়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমবেত হয়। বেলা ১২টার মধ্যে শহীদ মিনার চত্বর ও আশপাশের রাস্তা কানায় কানায় ভরে যায়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক।

এতে সাংসদ খন্দকার আসাদুজ্জামান বলেন, খুনি চক্র যাতে আওয়ামী লীগে থাকতে না পারে সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফারুক আহমেদের খুনিদের স্থান এই সমাজে হতে পারে না।নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ বলেন, তদন্তে বের হয়ে এসেছে এই হত্যাকাণ্ডে সাংসদ আমানুর, তাঁর ভাই পৌর মেয়র সহিদুর রহমান, জাহিদুর রহমান ও সানিয়াত জড়িত। খুনিদের স্থান আওয়ামী লীগে থাকতে পারে না। আমানুর ও তাঁর ভাইদের অবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই