গণমাধ্যমের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যম ভূমিকা রেখেছে। অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গণমাধ্যম এগিয়ে যাচ্ছে। গণমাধ্যমের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যমের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ দরকার।

‘এসডিজি ১৬ ও সুশাসন: সরকার, গণমাধ্যম ও জনগণ’ শীর্ষক সংলাপে কথাগুলো বলেন ইফতেখারুজ্জামান। রাজধানীর ধানমন্ডিতে আজ মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে এ সংলাপের আয়োজন করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আগামীকাল ৩ মে সারা বিশ্বে পালিত হবে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ বা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস।

সংলাপের শুরুতে টিআইবির পরিচালক রিজওয়ান-উল-আলম একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তাতে বলা হয়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭টি অভীষ্টের মধ্যে ১৬ নম্বর ধারাটি সুশাসন সম্পর্কিত। সুশাসন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মধ্যে আন্তসম্পর্ক রয়েছে।

প্রবন্ধে বলা হয়, সরকার যদি জনমত উপেক্ষা করে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করে দেয়, তাহলে সরকার জন-আস্থার সংকটের সম্মুখীন হয়। অন্যদিকে গণমাধ্যম যদি নৈতিকতা-বর্জিত সাংবাদিকতার চর্চা করে, তথ্য পরিবেশনায় স্ব-নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, তখন গণমাধ্যমও জন-আস্থার সংকটের সম্মুখীন হয়।

সভাপতির বক্তব্যে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে গেলে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারসাম্য থাকতে হবে। বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে দুর্বলতা রয়েছে। সরকারের সমালোচনা করলেও উন্নয়ন হচ্ছে। সরকারব্যবস্থা আরও ভালো কীভাবে করা যায়, সে চেষ্টা করতে হবে।

সংলাপে গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ মো. জাহাঙ্গীর বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বিষয়গুলো সরকারের পক্ষ থেকে যতটা বলা হয়, গণমাধ্যমের কাছ থেকে ততটা শোনা যায় না। এই লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধকতা কী, লক্ষ্যগুলো কীভাবে অর্জন করা যেতে পারে, সেসব বিষয়ে কাজ করতে পারে গণমাধ্যম।

অনলাইন পত্রিকাকে গণমাধ্যমের ভবিষ্যৎ বলে মনে করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফসান চৌধুরী। তিনি বলেন, এক কোটির বেশি মানুষ অনলাইনে সংবাদ পড়ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ‘সিটিজেন জার্নালিজম’ হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইস্যু নিয়ে মূল সংবাদমাধ্যমগুলো সংবাদ করছে।



মন্তব্য চালু নেই