ঈদ ও পূজাকে সামনে রেখে অবাধে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা

ঈদ ও পূজা কে সামনে রেখে ভোলায় মাদক ব্যবসায়ীদের আনা গোনা বেপোরোয়া হারে বেড়ে উঠছে । অবাধে চলছে তাদের মাদকের রমরমা ব্যবসা।এর পেছনে রয়েছ রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী কয়েকটি মহল। ফলে মাঝে মধ্যে পুলিশ দায় সাড়াভাব নিয়ে দুই একটা চালান কিংবা দুই একজন মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে। মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে।মাঝে মধ্যে পুলিশ দুই একজনকে ধরলেও মোটাঅংকের উৎকুস গ্রহন করে মাদক দ্র্র্রব্য আইনের পরিবর্তে ৫৪ ধারা অথবা চুরি বা মারামারী মামলায় কোর্টে প্রেরন করে থাকেন , যা তারা সহজে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার মাদকের ব্যবসা সক্রিয় হয়ে পরে। কিন্তু তাদের গডফাদার কে বা কারা তা বাহির করার চেস্টা করেন না প্রশাসন। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশকে ম্যানেজ করে তারা তাদের মাদক ব্যবসা ভীড় দর্পে চালিয়ে যাচ্ছে।এদিকে মাদক ব্যবসায়ীদের কবল থেকে কোমলমতি তরুন তরুনী যুবক যুবতীরা নেশা গ্রস্থ হচ্ছে, এতে করে ক্রমান্বয়ে ধ্বাবিত হচ্ছে ধ্বংসের দিকে। যার ফলে দিন দিন শিশু অপরাধ ভারছে, নেশা গ্রস্থ হয়ে পরছে স্কুল কজেল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা। অনুসন্ধানে জানা যায় ভোলায় মাদক এতই সহজ লভ্য হয়ে পরছে যে মোবাইলে ফোন করলেই মাদক পৌছে দিয়ে যায় ক্রেতার কাছে। আর ভোলা সদর থেকে মাদকের চালান বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পরছে। ভোলায় গাঁজা,ফেন্সিডিল,ইয়াবা,হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য সেবন ও বিক্রির সাথে জড়িয়ে পরছে নতুন নতুন মুখ। এই ভ্রাম্যমান মাদক ব্যবসায়ীরা মূলত বিভিন পেশার সাথে জড়িত যেমন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা,চাকুরীজিবী,ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ড্রাইভার, বিভিন্ন দোকানের মালিক ও কর্মচারী, কলেজ কর্মচারী, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী। নতুনদের সাথে পাল্লা দিয়ে পুরাতন মাদক ব্যবসায়ীরা পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠছে। আসন্ন ঈদুল আযহা ও পূজাকে সামনে রেখে ভোলা সদরসহ, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরায় মাদকের স্বর্গ্ররাজ্য হিসেবে পরিচিত সিন্ডিকেট গুলো বেপোরোয়া হয়ে উঠছে। এলাকা ভিওিক এই মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করেন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী মহল। মাদক সিন্ডিকের সদস্যদে সচরাচর রিক্রা চালক বা মোটরসাইকেল চালক বেশে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাদক বিক্রি করে থাকে। এই মাদক পাইকারী বিক্রেতা থেকে খুজরা বিক্রেতারা ক্রেতাদের নিকট পৌছে দিচ্ছে, স্থানীয়দের অভিযোগ এই মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আইন শৃঙ্গলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। এই মাদক ব্যবসায় অধিক লাভ জনক হওয়ায় সন্ত্রাসীদের মধ্যে সব ধরনের অপরাধ ব্যাপক বিস্তার ঘটছে। নেশার টাকা জোগার করতে গিয়ে যুব সমাজ বিভিন্ন অপরাধের সংঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীরা ঢাকা,লক্ষিপুর, চট্রগ্রাম, নোয়াখালী,বরিশালসহ বিভিন্ন রুট দিয়ে মাদক দ্রব্য চরফ্যাশনে অতি সহজে প্রবেশ করাতে পারছে। ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান জানান, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়।আমরা একাধিক অপরাধীকে গ্রেফতার করে কোটে প্রেরন করি, কোট থেকে তারা জাবিনে বেরিয়ে এসে পূনরায় অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।



মন্তব্য চালু নেই