ইজতেমায় র‌্যাব-পুলিশ, পুণ্যস্নানে কেন নয় : ড. মিজানুর

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, আমাদের দেশে বিশ্ব ইজতেমা পালনকালে কয়েক প্লাটুন র‌্যাব-পুলিশ মোতায়েন করা যেতে পারে কিন্তু নারায়ণগঞ্জের পুণ্যস্নানে কেন র‌্যাব পুলিশ মোতায়েন করা হয় না। এর দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রকেই এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্র এসব কাজ নিশ্চিত করতে না পারবে ততক্ষণ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।

শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরসি মজুমদার অডিটোরিয়ামে ‘জাত-পাত, বর্ণ-বৈষম্য বিলোপ কর : সম-অধিকার সমমর্যাদা নিশ্চিত কর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস-২০১৫ উপলক্ষে মাইনরিটি রাইটস ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মিজানুর রহমান বলেন, আজকে সরকারি দলের হয়ে কেউ অপরাধ করলে তার বিচার নেই। কিন্তু ভিন্নমত পোষণ করলে তাকে গুম-হত্যা করতে দ্বিধা নেই। আজকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনকে গুম বা গ্রেফতার করা হয়নি। তাহলে তিনি কোথায়? তার হদিস নেই কেন? পুলিশ তাকে জাতির সম্মুখে হাজির করে প্রমাণ করুক সালাহ উদ্দিনকে তারা গ্রেফতার করেনি। তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ দায়িত্ব তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি যে মত ও পথেরই হোক না কেন, একজন স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সালাহ উদ্দিনসহ সকল গুম হওয়া নাগরিককে উদ্ধার করা পুলিশের একান্ত দায়িত্ব।

তিনি আরো বলেন, আজকে কেউ সংখ্যালঘু বলে তার সম্পত্তি লুটে নেয় স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন। রাষ্ট্রে এমন নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে যে, যদি কেউ সংখ্যালঘুর সম্পত্তি লুটে নেয় তবে তার সমুদয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। তবেই রাষ্ট্রের বৈষম্যহীন আচরণের প্রমাণ মিলবে। সরকার অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। এর জন্য সবার আগে প্রয়োজন বৈষম্যহীন নীতির বাস্তবায়ন।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাইনরিটি রাইটস ফোরামের সম্পাদক অ্যাডভোকেট উৎপল বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে মাইনরিটি রাইটস ফোরামের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মানস কুমারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অসিম সরকার, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই